উত্তরবঙ্গে তো বটেই দক্ষিণবঙ্গেরও বাঁকুড়া, আসানসোল-এর মতো বেশ কয়েকটি লোকসভা কেন্দ্রে জয় পেতে চলেছে বিজেপি। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাতছাড়া হতে চলেছে তৃণমূলের ঘাঁটি বলে পরিচিত বেশ কিছু এলাকা। তারমধ্যেই ব্যতিক্রম বলা যেতে পারে বীরভূম জেলাকে। এই জেলার বীরভূম ও বোলপুর - দুটি লোক সভা আসনেই অনেকটা এগিয়ে আছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। দিদির মান রেখেছেন তাঁর প্রিয় কেষ্ট।
দুপুর ২টো পর্যন্ত গণনার ফল অনুসারে বীরভূম কেন্দ্রে বিজেপির দুধকুমার মণ্ডলের থেকে প্রায় ৩২০০০ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন টিএমসি প্রার্থী শতাব্দী রায়। আর বোলপুর কেন্দ্রে এগিয়ে টিএমসির অসিত কুমার মাল। তাঁর সঙ্গে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপির রামপ্রসাদ দাসের ব্যবধান প্রায় ৫২০০০ ভোটের। যত সময় যা্ছে দুজনেরই ব্যবধান বাড়ছে।
তাই রাজ্যে তৃণমূলকে কড়া লড়াই ছুড়ে দিলেও অনেকটাই নিশ্চিন্ত বীরভূমের তৃণনূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। পশ্চিমবঙ্গের রাদজনীতিতে গুড়বাতাসা থেকে নকুল দানা দাওয়াইয়ের আমদানী করা বীরভূমের কেষ্ট বলছেন, তাঁর জেলায় দুই সাংসদই প্রচুর কাজ করেছেন। মানুষ উন্নয়ন দেখে ভোট দিয়েছেন। তাই জয় নিয়ে তাঁর মনে কখনই সংশয় ছিল না।
প্রার্থী শতাব্দী রায় অবশ্য অনুব্রত ও মমতা বন্দোপাধ্য়ায়কেও জয়ের কৃতিত্ব দিয়েছেন। তাঁর মতে অনুব্রত দুর্দান্ততভাবে সংগঠনকে পরিচালনা করায়, তাঁর উন্নয়নের কাজ করতে সুবিধা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তৃণনূলের যে প্রতীক রয়েছে। লোকে জানে এটা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রতীক। আর তাই ভরসা করে ভোট দেয়।
তবে ভোট-প্রচারের সময় কেষ্ট দাবি করেছিলেন সারা দেশে কুড়িয়ে বাড়িয়ে বিজেপি ১০০টা মতো ভোট পেতে পারে। কার্যক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদীর দলের আসন প্রাপ্তির সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বীরভূমের টিএমসি জেলা সভাপতি কিন্তু সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, তাংর অঙ্কে ভুল হয়েছিল।
তিনি জানিয়েছেন, দেশ বা রাজ্য়ের মতো বৃহবত্তর ক্ষেত্রে তিনি রাজনীতি করেন না। সাধারণ গ্রামের ছেলে। বীরভূম জেলা নিয়েই সারাদিন পড়ে থাকেন। জেলার উন্নয়নের কথাই শুধু ভাবেন। তাই দেশের মনোভাব বুঝতে তাঁর ভুল হয়েছিল। তবে দেশে বিজেপির উত্থান হলেও তৃণমূলের তাতে কোনও সমস্য়া হবে না বলেই দাবি করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর কথায়, 'আমাদের কিস্সু করদতে পারবে না'।