প্রচারের সময় কমে আমাদের সুবিধাই হয়েছে! কমিশনের দিকে মমতার অভিযোগ উসকে দিলেন রাহুল

  • কমিশনের দাবি, মঙ্গলবার বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের রোড শো-কে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার চলে কলকাতায়।
  • তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয় তাদের।
  • কমিশন জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার পরে আর কোনও ভোট প্রচার করতে পারবে না কোনও রাজনৈতিক দলই।
swaralipi dasgupta | Published : May 17, 2019 12:25 PM IST / Updated: May 17 2019, 05:59 PM IST

বাংলায় জারি রয়েছে ৩২৪ ধারা। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা পর্যন্তই ভোটের প্রচার করার অনুমোদন ছিল রাজনৈতিক দলগুলির কাছে। 

কমিশনের দাবি, মঙ্গলবার বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের রোড শো-কে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার চলে কলকাতায়। তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয় তাদের। কমিশন জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার পরে আর কোনও ভোট প্রচার করতে পারবে না কোনও রাজনৈতিক দলই। অদ্ভুত ভাবে বৃহস্পতিবারই ছিল বাংলায় মোদীর দুটি সভা। আর তার পরেই প্রচারের সময়সীমা শেষ হল। ফলে বিরোধীরা বিজেপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আঁতাত দেখতে পাচ্ছে। 

Latest Videos

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ বিষয়ে কমিশনকে 'বিজেপির ভাই' বলে কটাক্ষ করেন। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও নির্বাচন কমিশনের দিকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে। 

তবে প্রচারের সময় কমিয়ে দেওয়াতে নাকি সুবিধেই হয়েছে বিজেপির। উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহাকে যোগাযোগ করা হলে তিনি  বলেন,  "প্রচার একদিন কমে যাওয়ায় আমাদের সুবিধেই হয়েছে। ভোটের প্রচার চালিয়ে নিয়ে গেলে, ভোটের দিনের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পাওয়া যেত না। এতে আমাদেরও সুবিধা, নির্বাচন কমিশনেরও সুবিধা।" 

রাহুল সিনহার এই মন্তব্য বিরোধীদের অভিযোগকে আরও উসকে দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এসব নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে ভোট ব্যাঙ্কে তেমন কোনও হেরফের হবে না বলেই মনে করছেন উত্তর কলকাতার তৃণমূল প্রার্থীর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্ত্রী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। 

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে যোগাযোগ করে পাওয়া না গেলে তাঁর স্ত্রীকে যোগাযোগ করা হয়। নয়না বলছেন, "বাংলার মানুষ জানে কী হচ্ছে। তারা জানে কীভাবে মূর্তি ভেঙে আমাদের নামেই দোষ চাপানো হল। জোর যার মুলুক তার। নির্বাচন কমিশনকেও কিছু বলব না। বাংলার মানুষের যথেষ্ট বুদ্ধি আছে। ২৩ তারিখ ভোটের ব্যাঙ্কেই বোঝা যাবে বাংলার মানুষ কী চায়। তাছাড়া কিছুই এসে যায় না।" 

নির্বাচন কমিশনের দাবি অনুযায়ী, বিদ্যাসাগর কলেজে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে গন্ডগোলের জন্য তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুই রাজনৈতিক দলকে শাস্তি দিতে কি এমন সিদ্ধান্ত কমিশনের? তা হলে অন্য়ান্য রাজনৈতিক দলগুলির কী হল! তারা কেন এর জন্য মাশুল গুনছে। এই প্রসঙ্গে উত্তর কলকাতার সিপিএম প্রার্থী  কনীনিকা বোস ঘোষকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "মানুষকে ভাবতে বলব, দুই দলের দ্বৈরথে কী বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। সূর্যকান্ত মিশ্রও বলেছেন, কমিশনের পদক্ষেপ করতে এতটা দেরি কেন হল। পরিস্থিতি আরও আগে সামাল দেওয়া হল না কেন। আর একদিন আগে এমন সিদ্ধান্তের ফলে কিছু তো অসুবিধা হয়েছেই। যেভাবে প্ল্যান ছিল তা বিঘ্নিত হল।" 
 

Share this article
click me!

Latest Videos

Mamata Banerjee-র প্রশাসনকে বেলাগাম তুলোধোনা Agnimitra Paul-এর, দেখুন কী বললেন BJP নেত্রী
হিন্দুদের পাশে থাকায় শুভেন্দুকে প্রাণ নাশের হুমকি, দেখুন জবাবে কী বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
North Sonarpur Book Fair 2024: উত্তর সোনারপুর বইমেলা শুরু! ছোটদের বইমুখী করতে নতুন চমক, দেখুন
শতবর্ষে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী Atal Bihari Vajpayee, শ্রদ্ধা নিবেদন রাষ্ট্র নেতাদের | PM Modi News
'লুঙ্গিতে গিট বেঁধে আসুক, না হলে ওদের লুঙ্গিকে প্যারাসুট বানিয়ে ছেড়ে দেব' | Sukanta Majumdar Today