এই চ্যানেলের কাছে কোনও লাইসেন্স নেই। এমনকী, নমো টিভি লাইসেন্স পাওয়ার জন্য কোনও আবেদনও করেনি।
লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজতেই গত ৩১ মার্চ লঞ্চ হয়েছে নমো টিভি চ্যানেল। চ্যানেএর নামই বলে দেয় এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। আর বাজারে আসতেই এই টিভি চ্যানেল নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন বিতর্ক।
এক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট দাবি করেছে, এই চ্যানেলের কাছে কোনও লাইসেন্স নেই। এমনকী, নমো টিভি লাইসেন্স পাওয়ার জন্য কোনও আবেদনও করেনি। আর একটি রিপোর্ট বলছে, এই চ্যানেল সংবাদও পরিবেশন করছে না। ভারতের তথ্য ও সম্প্রচারণের নিয়মাবলীর বাইরে এই চ্যানেল। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এই চ্যানেল সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত প্রদর্শন করেছে। ফলে নমো টিভি-তে আসলে কী দেখানো হয়, তা অনেকের কাছেই স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের ডেটা ইনটেলিজেন্স ইউনিট টানা ১২ ঘণ্টা এই চ্যানেলটি দেখে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, নমো টিভি অন্যান্য খবরের চ্যানেলের মতোই দেখতে। স্ক্রিনের একদম নীচে একটি টিকার রয়েছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া বিভিন্ন বক্তব্য থেকে বিশেষ কিছু উক্তি দেখানো হয়।
অন্যান্য চ্যানেলের মতোই এই চ্যানেলের এক কোণে সময় প্রদর্শন করা হচ্ছে। মোদী কোন সভায় গিয়ে কী বলেছেন, সেই লোকেশনও স্ক্রিনের উপরের বাঁ দিকে দেখানো হয়। মোদীর লাইভ ভিডিও ও রেকর্ডেড ভিডিও দুটোই এই চ্যানেলে দেখানো হয়।
চ্যানেলের নামের মধ্যেই চ্যানেলের বিষয় রয়েছে। এই চ্যানেলটি তৈরিই হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর প্রচারের জন্য। এমনকী, লোগোতেও রয়েছে মোদীর ছবি। এই চ্যানেলে কোনও সঞ্চালক নেই। টানা ১২ ঘণ্টায় বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে শুধু মোদীকেই দেখা গিয়েছে। কোনও সঞ্চালক ছাড়াই এই চ্যানেলে চলছে মোদীর বক্তব্যের বিভিন্ন অংশ।
অর্থাৎ নির্বাচনের আগে এই চ্যানেল যে বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদীর মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে তা বলাই যায়।