মোদীর সভার পরে প্রচার শেষ! কমিশনের সিদ্ধান্তে পক্ষপাতিত্ব দেখছে অন্যান্য রাজনৈতিক দল

  • নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বাংলার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত।
  • কিন্তু তবুও কমিশনের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে।
  • রাজনৈতিক দলগুলি প্রশ্ন তুলছে যে নির্বাচন কমিশন কি কোনও  ভাবে বিজেপির পক্ষপাতিত্ব করছে।
     
swaralipi dasgupta | Published : May 17, 2019 7:01 AM IST / Updated: May 17 2019, 12:48 PM IST

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বাংলায় ভোট প্রচার বন্ধ হয়েছে বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায়। মঙ্গলবার বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের রোড শো-কে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার চলে কলকাতায়। এর পরেই তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। জানিয়ে দেয় বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার পরে আর কোনও ভোট প্রচার করতে পারবে না কোনও রাজনৈতিক দলই।  

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বাংলার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু তবুও কমিশনের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে। রাজনৈতিক দলগুলি প্রশ্ন তুলছে যে নির্বাচন কমিশন কি কোনও  ভাবে বিজেপির পক্ষপাতিত্ব করছে।

Latest Videos

দেখে নেওয়া যাক নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত ঘিরে কী কী প্রশ্ন উঠছে- 

১)  নির্বাচন কমিশনের দাবি অনুযায়ী, বিদ্যাসাগর কলেজে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে গন্ডগোলের জন্য তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুই রাজনৈতিক দলকে শাস্তি দিতে কি এমন সিদ্ধান্ত কমিশনের? তা হলে অন্য়ান্য রাজনৈতিক দলগুলির কী হল! তারা কেন এর জন্য মাশুল গুনছে। তারা কেন বাংলার ৯ কেন্দ্রে ভোট দিতে পারবে না। 

২) যদি বাংলায় শান্তি বজায় রাখতেই কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, তা হলে কেন সঙ্গে সঙ্গে বুধবার থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হল না প্রচারকে। অশান্তি তৈরি হলে তো বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার আগেও প্রচার সভাগুলিতে হতে পারত। কিন্তু তাও কেন বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা পর্যন্ত সময় দিল কমিশন। 

৩) বৃহস্পতিবার বাংলায় দুটি জায়গায় নরেন্দ্র মোদীর সভা ছিল। শুক্রবার আর কোথাও মোদীর সভা নেই। তা হলে কি মোদীর সভা শেষ হওয়া পর্যন্তই অপেক্ষা করছিল নির্বাচন কমিশন? এই নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল সহ অন্যান্য় রাজনৈতিক দলগুলি।

৪) কলকাতার অবস্থা ধুন্ধুমার হয়েছিল। কিন্তু দেশের অন্যান্য জায়গাতেও এমনই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলেও একই রকম সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন। যেমন ওড়িশায় এক বিজেপি কর্মী কমিশনের একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে নিগ্রহ করে। এই বচসায় কংগ্রেস নেতা নিরঞ্জন পট্টনায়ক সহ ১১ জন আহত হন। কিন্তু এর জন্য ওড়িশায় কড়া পদক্ষেপ করেনি কমিশন। এই দ্বিচারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমনকী,বাংলাতেই চতুর্থ দফার ভোটের পরেই বিজেপি ও তৃণমূলের ৪ সদস্য়কে মৃচচ  অবস্থায় পাওয়া যায়। কিন্তু সেই সময়ে এই কড়া পদক্ষেপ নেয়নি কমিশন। 

প্রসঙ্গত, এবারের ভোটে এই প্রথম ৩২৪ ধারা জারি করে প্রচারের সময়ে কমালো নির্বাচন কমিশন। প্রচার সময় ছোট হওয়ার জেরে কি রাজনৈতিক দলগুলির ভোট ব্যাঙ্কে তার প্রভাব পড়বে! তা সময়ই বলচে পারবে।

Share this article
click me!

Latest Videos

জালে পুরনো পাপী! জাল পাসপোর্ট পৌঁছে যেত অনুপ্রবেশকারীদের হাতে! | Duttapukur News | Kolkata
জঙ্গি গ্রেফতারির পর কড়া নজিরদারি Canning-এ! পেশ করা হলো হোটেল মালিকদের জন্য নতুন নিয়ম | Canning News
মাত্র এক মাসের সংসার! যৌতুক না দিতে পারায় এইরকম পরিণতি, শুনলে আঁতকে উঠবেন | South 24 Parganas News
নয়া মোড় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়! পার্থ-অর্পিতাদের বিরুদ্ধে শুরু হলো চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া!
‘এক প্রভু জেলে আছেন লক্ষ্য প্রভু তৈরি হয়ে গিয়েছেন’ Suvendu Adhikari-র তীব্র হুঙ্কার