ভোট তো দেন, ভোটের কালি সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানেন কি
ভোটের কালি ঘিরে রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি অজানা তথ্য। জেনে নিন সেগুলি কী
swaralipi dasgupta | Published : Apr 24, 2019 10:29 AM
ভোট মানেই হাতের আঙুলে একটা কালির দাগ। ছোট্ট হলেও এই দাগের গুরুত্ব যে অপরিসীম, তা নতুন করে বলার কিছুই নেই। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। ভোটের কালি ঘিরে রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি অজানা তথ্য। জেনে নিন সেগুলি কী-
ভোটের কালি ভারতে প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৯৬২ সালে, দেশের তৃতীয় সাধারণ নির্বাচনে।
এই কালি প্রস্তুতকারী প্রধান সংস্থার নাম পেন্টস অ্যান্ড ভার্নিশ লিমিটেড (এমভিপিএল)।
এই কালি খোলা বাজারে বিক্রি হয় না।
মহীশূরে ১৬ একর জায়গা নিয়ে ১৯৩৭ সালে কাজ শুরু করে এই কালি প্রস্তুতকারী সংস্থা।
এই সংস্থা কালি ছাড়াও মোম তৈরি করে। ব্যালট বক্স সিল করার সময়ে এই মোম ব্যবহার করে হতো।
তবে শুধু ভারতেই নয়। আফগানিস্তান, নেপাল, তুরস্ক, ফিজি, ডেনমার্ক, কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা-তেও এই সংস্থা কালি রফতানি করে।
২০০৬ সাল থেকে ভোটের কালির চাহিদা সবচেয়ে বাড়ে। আগে ভোটারের তর্জনী আর নখের মাঝখানে আড়াআড়ি ভাবে কালির দাগ দেওয়া হতো। ২০০৬ সাল থেকে নতুন নিয়ম আনে নির্বাচন কমিশন। সেই নিয়ম অনুযায়ী তর্জনীর প্রথম গাঁট থেকে নখের উপর র্পযন্ত কালির দাগ টানতে হবে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে এই কালি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে। ৮১ কোটি ভোটারের জন্য সেবার ১০ মিলিলিটারের ২২ লক্ষ কৌটো কালি খরচ হয়।
ভোটের কালি সাধারণত সিলভার নাইরেট, রং ও অ্যালকোহোল জাতীয় তরল দিয়ে তৈরি হয়।
ভোটের কালি একই রকম থাকে টানা ৭২ থেকে ৯৬ ঘণ্টা। কিন্তু তার পরেও এর ছাপ ২ থেকে ৪ সপ্তাহ আঙুলে বা নখের পাশে থেকে যায়।