হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক করতে এই মুহূর্তে সিপিআর চলছে। অবস্থা আরও ঘোরালো হয়ে উঠছে তাঁর। এই জায়গা থেকে আশার আলো কতটা দেখতে পাচ্ছেন চিকিৎসকের দল?
পরপর হৃদরোগ। তাতেই আরও সঙ্কটজনক অবস্থা ঐন্দ্রিলা শর্মার। হাতপাতাল সূত্রে এ খবর পেয়েছে এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। বুধবার সকাল ৯টায় আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক করতে এই মুহূর্তে সিপিআর চলছে। অবস্থা আরও ঘোরালো হয়ে উঠছে তাঁর। এই জায়গা থেকে আশার আলো কতটা দেখতে পাচ্ছেন চিকিৎসকের দল? সূত্রের খবর, এখনও ১ শতাংশ প্রাণের সাড়া আছে অভিনেত্রীর শরীরে। তাই এক্ষুণি আশা ছাড়তে রাজি নন তাঁরা। তাই কোনও ঘোষণাও করছেন না।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঐন্দ্রিলার অবস্থা ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। সময় যত এগিয়েছে ততই জটিলতা বেড়েছে তাঁর শরীরে। মঙ্গলবার সন্ধেয় এশিয়ানেট নিউজ বাংলার কাছে ভেহে পড়েন অভিনেতা সৌরভ দাস। তিনি এই মুহূর্তে ‘বিবাহ অভিযান ২’-এর শ্যুটে দেশের বাইরে, ব্যাংককে। সেখান থেকেই ফোনে তাঁর আফসোস, 'আমরা অনেক লড়েছি। এ বার অলৌকিক শক্তি যদি কিছু করতে পারে। একমাত্র সবার শুভেচ্ছা, প্রার্থনা পারে ঐন্দ্রিলাকে ফিরিয়ে আনতে।'
ঐন্দ্রিলা অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই সব্যসাচীর সঙ্গে হাসপাতালে রাত জেগেছে সৌরভও। তাঁর মতে, সব্যসাচী তাঁর শুধুই বন্ধু নয়, ভাইও। তিনি ওঁর অবস্থা বুঝতে পারছেন। এর মধ্যেই আরেক সঙ্গী দিব্যকে নিয়ে রেস্তরাঁ হোদল সামলেছেন। হাসপাতালে বসে সব্যকে নিয়ে চিত্রনাট্য পড়েছেন। সব্যসাচীর মত তাঁরও আশা ছিল, জিতে ফিরবেন ঐন্দ্রিলা। যেভাবে এর আগে তিনি জিতেছেন দু'বার। মারণ রোগ ক্যান্সার থেকে। বন্ধুর বিশ্বাসে বিশ্বাস ছিল তাঁরও। সেই বিশ্বাসে ভাঙন ধরেছে। সোমবার ফেসবুকে ভেঙে পড়েছিলেন সব্যসাচী।
সোমবারের খবর অনুযায়ী, জ্বর, সংক্রমণ দুটোই ছিল তাঁর। ফের লড়াইয়ে ঐন্দ্রিলা শর্মা। অবস্থা আয়ত্তে আনতে নতুন অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স চালু করা হয়েছিল। তাতে ঐন্দ্রিলা কেমন সাড়া দেন, সে দিকে সজাগ দৃষ্টি ছিল চিকিৎসকের দলের। তখনও তিনি ভেন্টিলেশনেই। কিন্তু সম্পূর্ণ আচ্ছন্ন। শারীরিক অবস্থার উন্নতি চোখে পড়েনি চিকিৎসকদের। সম্ভবত, এই খবর জানার পরেই ভেঙে পড়েন সব্যসাচী। ফেসবুকে সবাইকে প্রার্থনা করার অনুরোধ জানান। এই প্রথম তাঁর কথাতেও হতাশার সুর স্পষ্ট। তিনি নিজেই দৈব শক্তি বা অলৌকিক ঘটনার উপরে নির্ভর করা ছাড়া আর উপায় দেখতে পাচ্ছিলেন না। সব্যসাচীর বক্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক মাধ্যমে আছড়ে পড়ে তারকাদের মন্তব্য। প্রত্যেকে সব্যসাচীকে ভরসা দিচ্ছেন। একই সঙ্গে অচৈতন্য ঐন্দ্রিলার সাড় ফেরাতে মন্ত্রের মতো জপছেন, ‘ফাইট ঐন্দ্রিলা ফাইট’!