বাংলা সিনেমায় ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় মানে একটা অধ্যায়। উত্তমকুমার সুচিত্রা সেন জুটি যখন তুমুল হিট তখনই বাংলা সিনেমার দর্শকের মনে একটা অন্য জায়গা তৈরি করেছিলেন নিয়েছিলেন ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিংবদন্তি অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিনের প্রকাশিত হল তাঁকে নিয়ে তৈরি হওয়া বায়োপিক 'যমালয়ে জীবন্ত মানুষ'এর পোস্টার। নাম ভূমিকায় রয়েছেন ঋতিত্বক ঘটকের বায়োপিক 'মেঘে ডাকা তারা' উত্তম কুমারের বায়োপিক 'অচেনা উত্তম'এর শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। যদিও শাশ্বত কোনও পরিচয়ের প্রয়োজন নেই। একাধারে তিনি দুর্দান্ত কমেডিয়ান। অন্যেদিকে দক্ষ অভিনেতা। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রও সিলভার স্ক্রিনে দুর্দান্ত ফুটিয়ে তুলবেন এমনটাই আশা বাঙালির।
অন্যদিনে বাংলা সিনেমায় ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় মানে একটা অধ্যায়। উত্তমকুমার সুচিত্রা সেন জুটি যখন তুমুল হিট তখনই বাংলা সিনেমার দর্শকের মনে একটা অন্য জায়গা তৈরি করেছিলেন নিয়েছিলেন ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্শ্বচরিত্র হলেও অনেক ছবিতে তাঁর ডায়লগ এখনও মুখে মুখে ঘোরে। স্ক্রিনে ভানু উপস্থিতি মানেই দর্শকের সব দুঃখের অবসান। আজ সেই ভানু বন্দ্যোাধ্যায়ের জন্মদিন। ১৯২০ সালে ২৬ অগাস্ট জন্ম। অভিভক্ত বাংলাদেশের বিক্রমপুর জেলায় জন্ম। পড়াশুনা ঢাকার সেন্ট গ্রেগরিস হাইস্কুলে। ১৯৪১ সালে চলে আসেন কলকাতায়। আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানিতে প্রথমে চাকরি করেন। অভিনয় জীবন শুরু ১৯৪৭ সালে জাগরণ ছবির মাধ্যমে। তবে ভানুর জীবনে টার্নিং পয়েন্ট ছিল সাড়ে চুয়াত্তর। এই ছবির বিখ্যাত ডায়গল, 'মাসিমা মালপো খামু' আজও জনপ্রিয়। তাঁর হিট ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে, যমালয়ে জীবন্ত মানু, ভানু গোয়েন্দা জওহর অ্যাসিস্ট্যান্ট, ভ্রান্তিবিলাস, গল্প হলেও সত্যি,৮০তে আসিও না। তাঁর জীবন, তৎকালীন অভিনয় জগতের কথাই তুলে ধরা হয়েছে যমালয়ে জীবন্ত ভানু- ছবিতে।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবির পোস্টার শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী দর্শনা বনিক। তিনি লিখেছেন, 'আজ সেই মানুষটির জন্মদিন যিনি যুগযুগ ধরে আপামর বাঙালির মনে ছিলেন আছেন আর থাকবেন।বাঙলা ছায়াছবির মাধ্যমে তিনি লাভ করেছেন অমরত্ব।তিনি শ্রদ্ধেয় শ্রী ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়।তাঁকে স্মরণ করেই আমাদের এবারের নিবেদন…যমালয়ে জীবন্ত ভানু'। চলতি বছর শীতকালেই ছবিটি মুক্তি পাবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পোস্টারে।
ছবির পোস্টারে স্পষ্ট শাশ্বতই পর্দার ভানু। তাঁর সঙ্গে আর কে কে রয়েছে এই ছবিতে তা নিয়ে কিছুই বলা হয়নি পোস্টারে। ছবির পরিচালক কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। বুড়িমা চিত্রম নিবেদিত এই ছবির প্রযোজনা করেছে সুমন কুমার দাস। ১৯৫৮ সালে মুক্তি পায় যমালয়ে জীবন্ত মানুষ। এই ছবিতে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছিলেন লিড রোলে।