সাধক রামপ্রসাদ অবতার নেওয়ার আগে প্রয়াত প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা শর্মার মাকে ফোন করেন সব্যসাচী চৌধুরি। জানান নিজের সেই আক্ষেপের কথা। ফোনে বলেন তিনি কথা রাখতে পারেননি।
ঐন্দ্রিলা শর্মার নামের পাশাপাশি সব্যসাচী চৌধুরি নামটা উঠবেই। মাস দেড়েক হল চিরতরে বিদায় নিয়েছেন ঐন্দ্রিলা। কিন্তু যে মানুষটি তাঁর লড়াইয়ে সমানভাবে শামিল থেকে সর্বক্ষণ ছায়াসঙ্গীর মতো ছিলেন, সেই সব্যসাচীর এখন কী পরিস্থিতি? ভাবিয়ে তুলেছিল অনুরাগীদের। পর্দায় ফিরলেন সব্যসাচী। সম্প্রতি স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘সাধক রামপ্রসাদ’-এর সুবাদে টেলিভিশনের পর্দায় ফিরেছেন অভিনেতা। ধরা দিয়েছেন একেবারে নয়া অবতারে।
কেমন সেই অবতার। ‘বামাক্ষ্যাপা’র পর এবার ‘সাধক রামপ্রসাদ’-এর চরিত্রে তিনি। আর সেই ভূমিকায় অভিনয় করার আগেই সব্যসাচীকে ছেঁটে ফেলতে হয়েছে গোঁফ-দাড়ি। এই কাজটাই পছন্দ করতেন না ঐন্দ্রিলা। ঐন্দ্রিলার স্মৃতি বুকে আঁকড়ে আগের মতোই টেলিপাড়ার সেটে ফিরেছেন সব্যসাচী চৌধুরি। মাস দুয়েক হল কাছের মানুষটা আর নেই। আর ফিরবেও না। তবে প্রেমিকা চলে যাওয়ার পরও তার পছন্দ-অপছন্দের কথা মাথায় রেখেই চলতেন সব্যসাচী চৌধুরি। শুধু দাড়ি গোঁফ রাখার কথাই মেনে চলতে পারলেন না তিনি। সেই আক্ষেপ রয়ে গিয়েছে অভিনেতার।
সাধক রামপ্রসাদ অবতার নেওয়ার আগে প্রয়াত প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা শর্মার মাকে ফোন করেন সব্যসাচী চৌধুরি। জানান নিজের সেই আক্ষেপের কথা। ফোনে বলেন তিনি কথা রাখতে পারেননি। ঐন্দ্রিলা পছন্দ করত না সব্যসাচীর গোঁফ দাড়ি কাটা, কিন্তু চরিত্রের প্রয়োজনে অভিনয়ের জন্য তা করতে হয়েছে সব্যসাচীকে। তাই তাঁর মনে হচ্ছে প্রেমিকাকে দেওয়া কথা রাখতে পারলেন না তিনি।
কেমন ছিল সব্যসাচী ও ঐন্দ্রিলার মায়ের টেলিফোনিক কথোপকথন। ফোন করে সব্যসাচী বলেন ঐন্দ্রিলাকে দেওয়া কথা রাখতে পারলেন না তিনি। ঐন্দ্রিলার মা জানান “মিষ্টি (ঐন্দ্রিলা) আসলে কোনওদিন সব্যসাচীকে ক্লিন শেভ করতে দিত না। ও পছন্দ-ই করত না। তাই সব্যও গোঁফ-দাড়ি কাটতে চায়নি। তবে চরিত্রের প্রয়োজনে সেটা করতেই হয়েছে। কাটার আগে ও আমাকে ফোন করেছিল। প্রোমো পাঠিয়ে ফোনও করেছিল। আমি ঠাট্টা করে বলেছি- মিষ্টি থাকলে তোমাকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলত। সব্যসাচী বলল, দাড়ি কাটার সময়ে একথা অনেকবার আমার মাথাতেও এসেছে।”
উল্লেখ্য, ঐন্দ্রিলার মা শিখাদেবী নিজেও বর্তমানে ক্যানসারের সঙ্গে যুঝছেন, রোজ দু’বেলা তাঁর খোঁজ নেন সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলার পরিবারের কাছের মানুষগুলোর সঙ্গে সময় কাটিয়েই যেন তিনি আরও আঁকড়ে ধরেন তাঁর মনের মানুষকে, তাঁর স্মৃতিকে, তাঁর ফেলে যাওয়া সময়কে।