জাহ্নবী বলেছেন, তিনি যখন ক্লাস ফোরে পড়েন তখন তাঁর ছবি পর্ন সাইটে ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। তিনি স্কুলের কম্পিউটার ল্যাবে ঢুকে দেখতে পেয়েছিলেন একটি প্রাপ্তবয়স্কদের সাইটে তাঁর ছবি রয়েছে
খ্যাতির চূড়ায় রয়েছেন শ্রীদেবী -বনি কাপুরের কন্যা জাহ্নবী কাপুর। তারকা কন্যা- বলিউডের প্রত্যাশা ছিল। ছোট থেকেই থাকতে হয়েছিল লাইমলাইনে। তারওপর ছিল পাপ্পারাৎজিদের তীক্ষ্ণ নজর। সবমিলিয়ে ছোট থেকেই বেশ কিছুটা কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছিল জাহ্নবী কাপুরকে। এতদিন পরে তিনি তাঁর শৈশবের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন। একবার পর্নসাইটে তাঁর ছবি ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। তার জন্য তাঁকে স্কুলেও প্রবল হেনস্থা হতে হয়েছিল।
নিউজলন্ড্রিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জাহ্নবী কাপুর বলেছেন, বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AIএর জমানায় ভুয়ো ছবির স্রোত বইছে। অনেকেই রয়েছে এজাতীয় ম্যানুপুলেড ছবিগুলি দেখে ধরে নেয় এগুলি আসল ছবি। যা তাঁকে রীতিমত উদ্বিগ্ন করে তোলে। এই কথা প্রসঙ্গেও জাহ্নবী নিজের ছোট বয়সের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন।
জাহ্নবী বলেছেন, তিনি যখন ক্লাস ফোরে পড়েন তখন তাঁর ছবি পর্ন সাইটে ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। তিনি স্কুলের কম্পিউটার ল্যাবে ঢুকে দেখতে পেয়েছিলেন একটি প্রাপ্তবয়স্কদের সাইটে তাঁর ছবি রয়েছে, যা দেবে বন্ধুরা খুব হাসাহাসি করছে। জাহ্নবী আরও জানিয়েছেন, ইয়াহু-র হোমপেজে পাপ্পারাৎজ্জির ছবি দেখতে পেয়ে তিনিও অস্বস্তিতে পড়ে যান। সেখানে শিরোনামে বলা হয়েছিল জাহ্নবী সিনেমায় নামতে চলেছে। এই কাণ্ডের পর বন্ধুরা তাঁর থেকে দূরে সরে গিয়েছিল। তাঁর শিক্ষকরাও তাঁর সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করেছিল। তিনি আরও বলেছেন, সেই সময় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ছিলেন।
জাহ্নবী বলেছেন, প্রথমদিকটায় তিনি কিছুই বুঝতে পারেননি। তাঁর বন্ধুরা তাঁর দিকে বাঁকা চোখে তাকাত। অনেকেই কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিল। অনেকেই তাঁকে খুব খারাপ মেয়ে ভেবে দূরে ঠেলে দিয়েছিল। তিনি আরও বলেছেন, তাঁর বন্ধুরা তাঁকে কটাক্ষ করে প্রশ্ন করত, কবে তিনি স্কুলের পাঠ পাকাপাকিভাবে চুকিয়ে দেবেন। অনেকেই তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিল ইয়াহু সার্চিং সাইটে তাঁর ছবি গেল কী করে। এজাতীয় প্রশ্নবানে জর্জরিত হয়েছিলেন জাহ্নবী।
২০১৮ সালে ধড়ক ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছেন জাহ্নবী। তারপর একাধিক ছবিতে তাঁর অভিনয় প্রশংসা পেয়েছে।