দ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ছবি শোক করেছেন কঙ্গনা। শেয়ার করছেন কেদারনাথ মন্দিরের ছবি। শেয়ার করেছেন একটি ভিডিও। যেখানে একেবারে অন্য রকম ভাবে দেখা যাচ্ছে নায়িকারে। তাঁর দেখে বোঝা দায় যে তিনিই সেই কঙ্গনা।
পোস্ট করে ছবিতে গলায় ফুলের মালা ও কপালে তিলক আঁকা দেখা যাচ্ছে কঙ্গনার। ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে, তিনি মন্দির থেকে সদ্য পুজো করে বেরিয়েছেন কঙ্গনা। মন্দির থেকে বেরিয়ে ভক্তদের সঙ্গে ছবি তুলেছেন নায়িকা।
তবে. কঙ্গনা প্রথম নয়। অক্ষয়কে দেখা গিয়েছিল কেদার নাথ মন্দির পরিদর্শন করতে। দেরাদুনে শ্যুটিং করতে গিয়েছিলেন খিলাড়ি কুমার। সেখান থেকে ব্রেক নিয়ে মন্দির দর্শন করেন। ভোলাবাবার আশীর্বাদ নিয়ে আসেন অক্ষয়।
এবার ভাইরাল হল কঙ্গনার ছবি। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় কেদারের ছবি দিয়ে লিখেছেন, আমি এই দিনটি খুব সৌভাগ্যবসত দেখতে পেয়েছি। এই লিখে হেলিকপ্টার থেকে তোলা ক্লিপ শেয়ার করেন কঙ্গনা। যা পোস্ট করা মাত মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছে। সঙ্গে ভাইরাল হয়েছে তাঁর মন্দির পরিদর্শনের ছবি।
তবে, তিনি একা নন। আরআরআর লেখক ও বিখ্যাক পরিচালক রাজামৌলির বাবা বিজয়েন্দ্র প্রসাদ ও কৈলাশানন্দ মহারাজও ছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াতের সঙ্গে। কঙ্গনার পোস্ট করা ছবিতে নায়িকার পাশে দেখাযায় তাঁদেরও। ছিলেন বিধায়ক উমেশ কুমারও।
উমেশ কুমার নিজের টুইটারে একটি ছবি শেয়ার করেছেন। যেখানে রয়েছে কঙ্গনার ছবি। একটি নীল রঙের এথনিক পোশাকে দেখা যাচ্ছে কঙ্গনাকে। গলায় রয়েছে ফুলের মালা। মাথায় তিলক। সেখানে প্রচন্ড ঠান্ডা। সে কারণে সেই ঠান্ডা থেকে বাঁচকে জ্যাকেট পরেছেন নায়িকা।
এদিকে দুদিন আগে দ্য কেরালা স্টোরি ছবি নিয়ে মন্তব্য করলেন কঙ্গনা। বললেন, অনেক রাজ্যে এই ছবির ওফর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা আছে। যা একেবারে অসাংবিধানিক। এর পরই শুরু হয় বিতর্ক।
তিনি বলেন, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি) দ্বারা পাস করা একটি ছবি নিষিদ্ধ করা সংবিধানকে অবমাননার সমান। কিছু রাজ্যে দ্য কেরালা স্টোরি-র ওপর নিষেধাজ্ঞা সঠিক নয়। - সদ্য এমন কথা শোনা যায় কঙ্গনার মুখে।
তারপরই ভাইরাল হয়েছে কঙ্গনার কথা। তিনি প্রায়শই বিতর্কীত মন্তব্য করে খবরে আসেন। সে কারণে অনেকের কাছে তিনি বলিউডের বিতর্কীত নায়িকা। আর এবার বিভিন্ন রাজ্যের ভুল ধরে খবরে এলেন তিনি। ছবি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একাধিক রাজ্য সংবিধানকে অবমাননার করছে- এমনই বদলে চাইলেন তিনি।
বর্তমানে একাধিক রাজ্য এখনও নিষিদ্ধ দ্য কেরালা স্টোরি প্রদর্শন। কেউ বলেছেন, ছবিতে যে ধর্মান্তকরণের বিষয় দেখানো হয়েছে তা জাতির ওপর খারাপ প্রভাব ফেলবে। তেমনই কেউ বলেছেন ছবিতে দেখানো একাধিক দৃশ্য সমাজে খারাপ প্রভাব ফেলবে। তাই একাধিক রাজ্যে ছবি প্রদর্শন বন্ধ।