Adipurush: উঠেছে সংলাপ পরিবর্তনের দাবি, দেখে নিন আদিপুরুষ ছবির সব থেকে বিতর্কিত সংলাপ কোনগুলো

হনুমানজীকে বলতে শোনা গিয়েছেস, কাপড়া তেরে বাপ কা, আগ তেরে বাপ কি, তেল তেরে বাপ কা। জলেগি ভি তেরে বাপ কি।– এই সংলাপ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ বজরঙ্গির মুখে এমন ভাষা কখনোই সত্যি হতে পারে না। এতে হনুমানজীর ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে শোনা যাচ্ছে।

তেমনই আরও এক দৃশ্যে বলতে শোনা গিয়েছে, ইয়ে তেরি বুয়া কা বাগিচা হ্যায় কেয়া? হাওয়া খানে আয়া?- এই সংলাপ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণে সে যুগে কখনোই এমন ধরনের ভাষা ব্যবহার করা হত না।

আরও এক দৃশ্যে বলা হয়েছে, রঘুপতি রাঘব রাজা রাম বলো অউর আপনি জান বাঁচা লো। নহি তো আজ খরা হ্যায়, কাল লেটা হুয়া মিলেগা। - এই সংলাপ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সে যুগে কারও সঙ্গে যতই বিবাদ থাকুক না কেন এমন ভাষা কেউই ব্যবহার করতেন না বলে দাবি করেছেন অনেকে।

আরও এক দৃশ্যে হনুমানজী বলেছেন, জো হামারি বহেন কো হাত লাগায়ে গা, উনকো লঙ্কা লাগা দেঙ্গে। - এই সংলাপ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ পূরাণ অনুসারে হনমানজী সীতাকে মাতা হিসেবে পুজো করতেন। তাই কীভাবে তাঁকে বোন বলে সম্বোধন করতে পারে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

ছবিতে মূলত হনুমানজীর সংলাপ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এমনকী সদ্য ছবি নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি অল ইন্ডিয়া সিনে ওয়াকার্স অ্যাসোসিয়েশন। এরই সঙ্গে টিমের বিরুদ্ধে দায়ের হল FIR। জানা গিয়েছে, পরিচালক ওম রাউত, সংলাপ লেখক মনোজ মুনতাশির শুক্লা ও ছবির প্রযোজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

অল ইন্ডিয়া সিনে ওয়াকার্স অ্যাসোসিয়েশন নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন। সেখানে, সিনেমা প্রদর্শন বন্ধ করার ও অবিলম্বে প্রেক্ষাগৃহ ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আদিপুরুষের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করার আদেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এদিকে ছবি মুক্তির পর একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছে আদিপুরুষ। সীতাকে কেন সাদা শাড়ি পরানো হয়েছে সেই নিয়ে চলছে বিতর্ক। সীতার ভাবমূর্তি নষ্ট করার আইনযোগে নির্মাতারা বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ে হয়েছে।

মুম্বইয়ের আন্ধেরি থানায় অভিযোগ দায়েকর করলেন এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সভাপতি পৃথ্বীরাজ মাস্কে। তিনি প্রযোজক ও পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তিনি বলেছেন, রামায়ণের কিছু অংশ বদলে দেওয়া হয়েছে। কাহিনিতে বর্ণিত ছিল, সীতা গেরুয়া রঙের পোশাক করে রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু, ছবিতে সাদা শাড়ি দেখানো হয়েছে।

ছবিতে রামচন্দ্রকে যোদ্ধা হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে, কাহিনি অনুসারে তিনি শুধু যোদ্ধা ছিলেন না। তিনি ছিলেন পুরুষোত্তম। অর্থাৎ উত্তম পুরুষ। তার দাবি, ছবিতে রামকে খাটো করা হয়েছে।

ওম রাউত পরিচালিত ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ১৬ জুন। হিন্দু ধর্মীয় পাঠ্য রামচরিতমানস থেকে চলচ্চিত্র তৈরি করছেন। ছবিতে উঠে এসেছে শ্রী রামের জীবন কাহিনি। তেলেগু, হিন্দি, তামিল, মালায়াম ও কন্নড় ভাষায় মুক্তি পেয়েছে ছবিটি।