মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত লাল-হলুদের 'পাগল' সমর্থক ছিলেন সৌমিত্র, জানুন সেই কাহিনি

  • প্রয়াত কিবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
  • ৪০ দিন ধরে লড়াইয়ের পর শেষ হল জীবন যুদ্ধ
  • সকলের প্রিয় 'ফেলুদার' মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সব মহল
  • দলের একনিষ্ঠ সমর্থককে শ্রদ্ধা জানাল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব

বড় পর্দায় কোণির সুইমিং কোচ ক্ষিদ্দার 'ফাইট কোনি ফাইট' ডায়লগ আজও শিহরণ জাগায় বাঙালির মনে। দেওয়া পিঠ ঠেকে যাওয়া অনেকের কাছেই সেই ডায়লগ আত্মবিশ্বাস জোগায় ঘুড়ে দাঁড়ানোর। বড় পর্দরা 'ক্ষিদদা' সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বাস্তব জীবনেও খেলার প্রতি আকর্ষণ কম ছিল না। অনেকেরই হয়তো অজানা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় একজন আদ্যপান্ত ইস্টবেঙ্গল সমর্থক ছিলেন। লাল-হলুদের প্রতি তাঁর য়ে একটা আলাদা টান বা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জন্য তাঁর যে একটা আলাদা গর্ববোধ রয়েছে সেই কথা বারবার জানিয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।

Latest Videos

ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সেখানে তাকে বিশেষ সম্মানও জানানো হয়েছিল। যা পেয়ে আপ্লুত ছিলন কিংবদন্তী অভিনেতা। অনুষ্ঠানে তিবি জানিয়েছিলেন, ছোট বেলা থেকে যে ফুটবল ময়দানের সঙ্গে সম্পর্ক চিল তেমনটা নয়। কিন্তু আমি যখন কলেজে পড়তাম বন্ধুদের সঙ্গে প্রায়শই মাঠে গিয়ে খেলা দেখতাম। তবে বন্ধুদের মধ্যে ঘটি-বাঙাল নিয়ে লড়াই-ঝগড়া একেবারেই সমর্থন করতাম না। সেই তর্কে আমি অংশও নিতাম না। তরজা খুব উচ্চ স্বরে পৌঁছলে আমি এমনও বলেছি যে, তোরা যদি না থামিস, ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান লড়াই যদি না থামে, তা হলে ভারতীয় ফুটবল সেই একশো দেশের পরেই থেকে যাবে। কিন্তু বাঙালির ফুটবলের প্রতি আবেগ কতটা আমি জানি। আর আমি নিজেও সেটা অনুভব করি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের যে শতবর্ষ পালন করার মতো একটা মহালগ্ন উপস্থিত, তা সত্যিই গর্ব করার মতো ব্যাপার। ক্লাব হয়তো একটা গঠন করে ফেলা যায় কিন্তু এত বছর ধরে সারা ভারতের সেরা ক্লাবগুলোর একটা হয়ে উন্নত মান এবং ঐতিহ্য ধরে রাখা মোটেও সহজ ব্যাপার নয়। সে দিক দিয়ে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান কলকাতার মানুষদের গর্বিত করেছে। এছাড়া আরও একবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের একবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে এসে সৌমিত্রবাবু বলেছিলেন,'তবু কোথায় যেন একটা চাপা আকর্ষণবোধ করতাম এই লাল-হলুদ জার্সির প্রতি যা আজকে আমার স্কার্ফ হিসেবে শোভিত হচ্ছে। যা আজকে আমাকে সম্মানিত করেছে, আমাকে গর্বিত করেছে, এবং আমার দীর্ঘদিনের আবেগকে উসকে দিচ্ছে। একটাই কথা ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সম্পর্কে আমি বরাবর ভাবতাম, আমরা যখন থেকে খেলা দেখছি কলকাতার মাঠে তখন সেই বিখ্যাত আমির, সালেহ, ধনরাজ, আপ্পারাও এবং ভেঙ্কটেশ সেই ফরোয়ার্ড লাইন। সেই স্মৃতিগুলো আজও আমার আবেগকে নাড়া দেয়।' পরবর্তীতে কাজের চাপে সবসময় মাঠে যাওয়া হয়নি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু ক্লাবের প্রতি টার প্রেম, টান, আবেগে যে এতটুকু ভাঁটা পড়েনি সেই কথাও জানিয়েছেন কিংবদন্তী অভিনেতা।

কিন্তু আজ সব অতীত। দীর্ঘ ৪০ দিনের লড়াইয়ে অবসান ঘটিয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। গত ৬ অক্টোবর করোনা আক্রান্ত হয়ে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বিগত ৪০ দিনে কখনও তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি বা অবনতি হয়েছে। মাঝখানে চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছিলেন সকলের প্রিয় 'ফেলু মিত্তির'। সবাই আশা করেছিলেন এই লড়াইও জিতে আসবেন 'ফেলুদা'। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। সৌমিত্র চট্টোপাধ্য়ায়ের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীও।  ক্লাবের একান্ত সমর্থককে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা নিতুদা। কিংবদন্তী অভিনেতা ও ইস্টবেঙ্গলের একনিষ্ঠ সমর্থকদের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা ক্লাবও। 

Share this article
click me!

Latest Videos

Mamata Banerjee-র প্রশাসনকে বেলাগাম তুলোধোনা Agnimitra Paul-এর, দেখুন কী বললেন BJP নেত্রী
হিন্দুদের পাশে থাকায় শুভেন্দুকে প্রাণ নাশের হুমকি, দেখুন জবাবে কী বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
North Sonarpur Book Fair 2024: উত্তর সোনারপুর বইমেলা শুরু! ছোটদের বইমুখী করতে নতুন চমক, দেখুন
শতবর্ষে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী Atal Bihari Vajpayee, শ্রদ্ধা নিবেদন রাষ্ট্র নেতাদের | PM Modi News
'লুঙ্গিতে গিট বেঁধে আসুক, না হলে ওদের লুঙ্গিকে প্যারাসুট বানিয়ে ছেড়ে দেব' | Sukanta Majumdar Today