নগ্নরূপেই কেন মা কালী পূজিত হন, জেনে নিন এর আসল কারণ

'মা তোর কত রঙ্গ দেখবো বল!' কার্ত্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে দীপান্বিতা কালীপুজো পালিত হয়। হিন্দুদের অন্যতম আরাধ্যা দেবী কালিকা বা কালী মূর্তিতে দেবীকে নগ্নিকা হিসেবে দেখা যায়। দেবীর এই মূর্তি অনেকের কাছে কৌতুহলের কারণ। কেন দেবী নগ্নিকা রূপে পূজিত হন! জেনে নিন মা কালীর রূপের তাৎপর্য। 

Deblina Dey | undefined | Published : Oct 22, 2022 1:16 PM
19
নগ্নরূপেই কেন মা কালী পূজিত হন, জেনে নিন এর আসল কারণ

হিন্দু শাস্ত্রে ব্রহ্মকেই একমাত্র সত্য বলে মনে করা হয়। ব্রহ্মই হল ঈশ্বর, ব্রহ্মই হল স্রষ্টা। এই ব্রহ্ম শক্তিই হল সৃষ্টি, স্থিতি ও বিনাশের কারণ। আর এই শক্তি হল আদ্যাশক্তি প্রকৃতি স্বরূপিনী। 

29

শাক্ত মতে, কালী বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আদি কারণ। প্রধানত শাক্ত সম্প্রদায় কালীপুজো করে থাকে। তন্ত্র অনুসারে, কালী দশমহাবিদ্যা নামে পরিচিত দশজন প্রধান তান্ত্রিক দেবীর প্রথম আরাধনা করে থাকেন। 
 

39

আদ্যাশক্তি নিরাকারা, তবে কল্পনার সুবিধার জন্য দেব-দেবীদের মানবরূপ কল্পিত করা হয়েছে। তবে সকল দেব-দেবীর মধ্যে কেন কালীকেই নগ্ন রূপে পুজো করা হয় জেনে নিন। 
 

Related Articles

49

দেবী চতুর্ভুজা, তাঁর ডান হাতে রয়েছে বরাভয় মুদ্রা ও নীচের হাতে রয়েছে আশীর্বাদ মুদ্রা। এই দুই মুদ্রার অর্থ হয় দেবী তাঁর সন্তানদের রক্ষা করেন আবার আশীর্বাদও করেন। 
 

59

অস্ত্র হিসেবে দেবীর হাতে রয়েছে তরবারি। এর অর্থ দুষ্টের দমনে দেবী যেমন রণমূর্তি ধারণ করতে পারেন আবার সন্তানের রক্ষার্থে তিনি মমতাময়ী মা।

69

দেবীর কেশ বৈরাগ্যের প্রতীক, দেবীর বর্ণ কখনও কালো কখনওবা নীল। দেবীর ত্রিনয়ন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের পাপ বিনাশকারী। পুরাণ ও তন্ত্র মতে কালীর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা পাওয়া যায়। যেমন, দক্ষিণাকালী, ভদ্রকালী, সিদ্ধকালী, গুহ্যকালী, শ্মশানকালী, মহাকালী, রক্ষাকালী ইত্যাদি। 
 

79

আবার বিভিন্ন মন্দিরে "ব্রহ্মময়ী", "ভবতারিণী", "আনন্দময়ী", "করুণাময়ী" ইত্যাদি নামে তিনি পূজিত হন। এই সব রূপের মধ্যে দক্ষিণাকালীর বিগ্রহই সর্বাধিক পরিচিত ও পূজিত। তার চার হাতে খড়্গ, অসুরের ছিন্ন মুণ্ড, বর ও অভয়মুদ্রা রয়েছে। 
 

89

তার গলায় রয়েছে নরমুণ্ডের মালা। দেবীর গায়ের রং কালো। মাথায় আলুলায়িত চুল এবং তিনি শিবের বুকে ডান পা আগে রেখে দণ্ডায়মান। গুণ ও কর্ম অনুসারে শ্রীকালী কালীর আরেক রূপ। 

99

অনেকের মতে এই রূপে তিনি দারুক নামক অসুর নাশ করেন। ইনি মহাদেবের শরীরে প্রবেশ করে তার কণ্ঠের বিষে কৃষ্ণবর্ণা হয়েছেন। শিবের ন্যায় ইনিও ত্রিশূলধারিনী ও সর্পযুক্তা।তিনি যেমন একদিকে মন্দ শক্তির বিনাশ কারিনী তেমনি ভক্তদের বিপদ-তারিনী।

Read more Photos on
Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos

Recommended Photos