পূর্ণিমা তিথিতে এই নিয়মে সারুন কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো, বাধা কাটিয়ে জীবনে মিলবে সার্বিক উন্নতি

প্রাচীন গ্রামীণ প্রথা অনুযায়ী কোজাগরী পূর্ণিমার সারারাত জেগে থাকার বিধি ছিল। কারণ অনেকেই মনে করতেন, মা লক্ষ্মী চঞ্চলা, তাই জেগে থেকে মাকে স্মরণ করা হত। মা লক্ষ্মী অল্পেই খুশী হন তাই এই পুজোয় খুব একটা বাহুল্য নেই। কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর প্রকৃষ্ট সময় প্রদোষকাল। অর্থাৎ সূর্যাস্ত থেকে দু ঘণ্টা পর্যন্ত যে সময়। যদিও প্রদোষ থেকে নিশীথ অবধি তিথি থাকলেও সেই প্রদোষেই পুজো বিহিত হয়। 

deblina dey | Published : Oct 29, 2020 6:56 AM IST
17
পূর্ণিমা তিথিতে এই নিয়মে সারুন কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো, বাধা কাটিয়ে জীবনে মিলবে সার্বিক উন্নতি

আগের দিন রাত্রি থেকে পরদিন প্রদোষ পর্যন্ত তিথি থাকলে পরদিন প্রদোষেই পুজো করা বিধেয়। আবার আগের দিন রাতে তিথি থাকলেও যদি পরদিন প্রদোষে তিথি না থাকে তাহলে আগের দিন প্রদোষেই পুজো করা হয়ে থাকে। 

27

সেই মত যে যার সাধ্য মত পুজো করতে পারেন। তবে পুজোর আগে সেই স্থান পরিষ্কার করে নিয়ে সুন্দর করে আলপনা দিয়ে নিতে হবে। প্রতি ঘরের দরজায়, পুজোর স্থানে লক্ষ্মীর পা অবশ্যই আঁকতে হবে। 

37

সেই দিন আঁকা আলপনা মুছবেন না। তারপর পুজোর জায়গা সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজিয়ে, ধূপ, ধুনো, প্রদীপ জালিয়ে দিতে হবে। গঙ্গা জল ছিটিয়ে দিন নিজের ও সকলের মাথায় ও পুজোর স্থানে। 

47

তারপর নারায়ণকে মনে মনে স্মরণ করে পূজা শুরু করুন। পূজার স্থানে একটি তামার পাত্রে জল রাখুন। এই জল সূর্য দেবতাকে অর্পণ করার জন্য। 

57

এরপর ঘট স্থাপন করে তার সামনে সামান্য দান ছড়িয়ে দিয়ে, ঘটে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকতে হবে। ঘটের উপর আম্রপল্লবে সিঁদুরের ফোঁটা দিতে হবে, এরপর ঘটে গঙ্গাজল পূর্ণ করে আম্রপল্লব দিয়ে দিতে হবে। 

67

এর উপর থেকে হরিতকী, ফুল, দুর্বা দিয়ে ঘট সাজান। লক্ষ্মীর পাঁচালী বইয়ে দেবীকে আরাধনা করার সমস্ত মন্ত্র লেখা আছে, তাতে দেবী আহ্বান মন্ত্র রয়েছে, সেই মন্ত্র উচ্চারণ করে ঘটে ও দেবীর পায়ে ফুল দিয়ে তাঁর অর্চনা শুরু করুন। 

77

হাতে ফুল নিয়ে পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র উচ্চারণ করুন। এরপর শাঁখ বাজিয়ে লক্ষ্মীর পাঁচালী পড়ে সংসারের মঙ্গল কামনা করুন।

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos