দোল পূর্ণিমা ও হোলি এই দুই উৎসবের মধ্যে তফাতটা কি, জেনে নিন এর পার্থক্য

এই উৎসবের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়। দোল উৎসব হোলির একদিন আগে পালিত হয়। এর কারণ এটি নয় যে "বাংলা আজ যা ভাবছে, বিশ্ব কালকে ভাববে"। তবে কেন দুটি আলাদা আলাদা দিনে একই উৎসব পালনের রীতি রয়েছে! একই উৎসব একই রীতি তবে ভিন্ন দিনে কেন!
 

deblina dey | Published : Mar 10, 2022 7:32 AM IST
19
দোল পূর্ণিমা ও হোলি এই দুই উৎসবের মধ্যে তফাতটা কি, জেনে নিন এর পার্থক্য

কয়েক মুহূর্তের জন্য নিজের জীবনেকে রাঙিয়ে তোলা বা সব কিছু ভুলে কয়েক ঘন্টার জন্য সব কিছু মিলিয়ে আনন্দে বাঁচার রসদ জোগায় এই উৎসব। হোলি উত্সব বিশ্বের বৃহত্তম রঙের উৎসব, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। 
 

29

বাংলায় এই উৎসব দোল পূর্ণিমা বা দোল উৎসব নামে পরিচিত।  তবে এটি সবাই একই উৎসাহের সঙ্গে এই উৎসব উদযাপিত করে। প্রত্যেকেই নিজস্ব ঐতিহ্যটি তাদের নিজস্ব উপায়ে উদযাপন করে থাকেন। 
 

39

যার পছন্দ যাই হোক না কেন, সবাই সবার নিজের মত করে উৎযাপন করে এই উৎসব। কেউ আবিরের রঙে কেউ আবার বাদুরে রঙ মেখে এই আনন্দের কিছু মুহূর্ত একেবারে নিঙরে নিতে চান। এই উৎসব বেশিরভাগ জায়গায় হোলি নামে পরিচিত আর বাংলায় দোল উৎসব। 
 

49

এই উৎসবের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়। দোল উৎসব হোলির একদিন আগে পালিত হয়। এর কারণ এটি নয় যে "বাংলা আজ যা ভাবছে, বিশ্ব কালকে ভাববে"। তবে কেন দুটি আলাদা আলাদা দিনে একই উৎসব পালনের রীতি রয়েছে! একই উৎসব একই রীতি তবে ভিন্ন দিনে কেন!
 

59

এর কারণ হল, হোলি উৎসব ভগবান বিষ্ণুভক্ত প্রহ্লাদের কিংবদন্তির কাহিনির উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে। আর দোল উৎসব কৃষ্ণ এবং রাধার প্রেমের কাহিনির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। কৃষ্ণ এবং প্রহ্লাদ উভয়ই ঘটনাক্রমে ভগবান বিষ্ণুর অবতার হিসাবে বিবেচিত। 
 

69

বাংলার ফালগুন মাসের পূর্ণিমা রাতের পরের দিন দোল উৎসব পালিত হয়। এই বিশেষ দিনেই, রাধা ও তাঁর সখীরা দল বেঁধে রঙ খেলায় মেতে উঠেছিলেন। তখন ভগবান কৃষ্ণ তাঁর মুখটি সুগন্ধি ফুলের কুড়ির রঙ দিয়ে গন্ধযুক্ত করলেন। 
 

79

কৃষ্ণা রাধার প্রতি সেই প্রথম প্রেম প্রকাশ করেছিলেন বলে মনে করা হয়। এই মুহূর্তটি উদযাপন করার জন্য দু'জনকেই বর্ণময় পালকিতে নিয়ে বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীরা নগর কীর্তনে বের হন। আর এদিকে হোলি উৎসব হল ভগবান বিষ্ণুভক্ত প্রহ্লাদকে কেন্দ্র করে যিনি রাক্ষস রাজা হিরণাকশীপুর ধর্মপ্রাণ পুত্র। 
 

89

বিষ্ণুভক্ত হওয়ায় প্রহ্লাদকে হত্যা করার জন্য, অতিপ্রাকৃত শক্তিধারী হলিকা - তাঁর সঙ্গে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি নিজেকে বাঁচাতে তাঁর শক্তিগুলি ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন, প্রহ্লাদের মৃত্যু নিঃশ্চিত। 
 

99

হোলিকার শক্তিগুলি তার "দুষ্ট" উদ্দেশ্যগুলির কারণে ব্যর্থ হয়েছিল এবং প্রহ্লাদ ভগবান শ্রীবিষ্ণুর আর্শীর্বাদে রক্ষা পান। হোলি, তাই, অশুভের উপরে শুভ শক্তির জয় উদযাপনের জন্য সারা বিশ্বে পালিত হয়। এই কারণের হোলির আগের দিন রাতে পালিত হয় হোলিকা দহন যা বাংলায় বুড়িঘর বা ন্যাড়াপোড়া নামে পরিচিত।
 

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos