অর্ধশতক থেকে এককদম দূরে শাশ্বত, তপসে থেকে বব বিশ্বাসের জার্নি
বাংলা চলচ্চিত্রের এবং টেলিভিশনের এক উজ্জ্বল তারকা হলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। আজ তার ৪৯ তম জন্মদিন। পেশাদার এই অভিনেতা ধারাবাহিক দিয়ে নিজের কেরিয়ার শুরু করলেও চলচ্চিত্রে গভীর ছাপ ফেলেছেন। ফেলুদা ধারাবাহিকে তপসের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি আরও বেশি খ্যাতি অর্জন করেছেন। এছাড়াও বব বিশ্বাস তার জনপ্রিয়তার আরও একটু বড় কারণ। মেনস্ট্রিম থেকে সাইড রোল কিংবা হাস্যরহস্যে পরিপূর্ণ যে কোনও কমিক চরিত্রেই তিনি বেশ সাবলীল। যতদিন যাচ্ছে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির একজন বীর সেনা হিসেবে তিনি বিবেচিত হয়ে আসেছন। আজকের এই বিশেষ দিনে এহেন দাপুটে অভিনেতার কয়েকটি সাফল্য দেখে নেওয়া যাক।
গোটা ভারত যেন শাশ্বতকে ভুলে বব বিশ্বাসকে মনে রেখেছে। বছরের পর বছর ধরে ঠিক এইভাবেই একের পর এক ছবি উপহার দিয়ে চলেছেন তিনি। অভিনয় করতে হবে বলে অভিনয় নয়, অভিনয়ের দ্বারা দর্শকমনে ছাপ কীভাবে ফেলতে হয় তাতে তিনি সিদ্ধহস্ত। সুজয় ঘোষের 'কাহানি' ছবি দিয়েই তিনি আরও বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
২০১৩ সালে 'মেঘে ঢাকা তারা' সিনেমাটি তার কেরিয়ারের শ্রেষ্ঠ ছবি। মাইলফলকও বটে। বরাবরই নিজের চরিত্র নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালবাসেন শাশ্বত। কিন্তু যেই মানুষটা প্রতিটি মানুষেরই আদর্শ তার চরিত্রে অভিনয় করাটা সত্যিই খুব কঠিন ব্যাপার। কিংবদন্তি বাঙালি চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের চরিত্রে নীলকন্ঠ বাগচি হয়ে ওঠাটা সত্যিই খুব কঠিন। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে ফাটিয়ে অভিনয় করে দর্শকদের চমক দিয়েছিলেন তিনি।
অনিক দত্তের পরিচালনায় 'ভূতের ভবিষ্যত' সিনেমায় তিনি অসাধারণ অভিনয় করেছিলেন। ছবিতে তার চরিত্রের নাম ছিল হাতকাটা কার্তিক। যা দর্শকদের মনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। সাড়া ছবি জুড়ে তার উপস্থিতি না থাকলে ছবিতে বিশেষ উপস্থিতিতেই তিনি সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। এমনই একজন অভিনেতা যারা পাওয়ার হাউস উপস্থিতি ছবিকে অন্য স্তরে নিয়ে যায়।
অনিক দত্তের পরিচালনায় 'আশ্চর্য প্রদীপ' সিনেমাটিতেও তিনি নিজের ছাপ রেখেছেন। আলাদিনের এই প্রদীপেই ফিরে যাবে তার ভাগ্য। এই ছিল ছবির বিষয়। হাস্যকৌতুকের পাশাপাশি গম্ভীর চরিত্রে অভিনয় করে তিনি তার অভিনয় দক্ষতা বুঝিয়ে দিয়েছেন।
বাংলা ছবির পাশাপাশি হিন্দি ছবিতেও নিজের স্বকীয়তার ছাপ রেখেছেন তিনি। শাশ্বত মানেই ছবি হিটের ফর্মুলা টলি ইন্ডাস্ট্রিতে এই ভাবেই নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন এই অভিনেতা।
আপকামিং ছবি 'ছুটি' নিয়ে ঋতুপর্ণার সঙ্গে জুঁটি বাঁধতে চলেছেন শাশ্বত। তার কাছে ছুটির সংজ্ঞাটা অনেকটাই যেন আলাদা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ছুটি কথাটার অর্থও তার কাছে বদল গিয়েছে। স্কুল জীবনে শনিবারের অপেক্ষায় থাকতে হত তাকে।কারণ তারপরের দিনই ছুটি। কিন্তু দিন যত বদলে গিয়েছে ততই যেন ছুটির সংজ্ঞা বদলে গিয়েছে।