প্রকাশ্যে শিশুকে স্তন্যপান সব থেকে বড় সমস্যার, সমাজের বিরুদ্ধের ক্ষোভ উগরে বিস্ফোরক দিয়া মির্জা
খুব সাদামাটা বিয়ের অনুষ্ঠানে একবারে অন্যরকম চমক ছিল বিয়ের মণ্ডপ। কারণ বিয়ের পুরোহিত ছিলেন একজন মহিলা। যদিও এর আগে ভক্তদের কাছে আরও অনেক সামাজিক পরিবর্তনের দাবী রেখেছিলেন দিয়া।
সোশাল মিডিয়ায় বেশ অ্যাক্টিভ বলি অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। তাঁর ভক্তদের কাছে অনেকরকম সামাজিক পরিবর্তনের নির্দশন তুলে ধরেছেন তিনি। কিছু মাস আগেই বিয়ে সেরেছেন এই অভিনেত্রী।
খুব সাদামাটা বিয়ের অনুষ্ঠানে একবারে অন্যরকম চমক ছিল বিয়ের মণ্ডপ। কারণ বিয়ের পুরোহিত ছিলেন একজন মহিলা। যদিও এর আগেও ভক্তদের কাছে আরও অনেক সামাজিক পরিবর্তনের নজির গড়েছিলেন দিয়া।
চলতি বছরের মে মাসে মা হয়েছেন অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। পুত্র সন্তানের নাম রেখেছেন অ্যাভান। মা হাওয়ার প্রায় এক মাসের মাথায় তিনি প্রকাশ্যে আনেন এই সুখবর।
জুলাই মাসে সন্তানের হাতের ছবি দিয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন তিনি। এখন তিনি সম্পূর্ণরূপে মাতৃত্ব উপভোগ করছেন। তবে এই নতুন পথ চলার সময় বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীনও হচ্ছেন তিনি।
যার মধ্যে স্তন্যপান করানো অন্যতম সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করেছেন এই বলি তারকা। দিয়ার মতে, সন্তানকে মা নির্দ্বিধায় স্তন্যপান করাতে পারে এমন নিরাপদ জায়গার অভাব রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জনসমক্ষে মা সন্তানকে স্তন্যপান করাতে গেলে লজ্জিত বোধ করতে বাধ্য করা হয় মায়েদের।
বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ উপলক্ষে দিয়া এক সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, যারা নতুন মা হয়েছেন তাদের স্তন্যপান করানোর কোনও নিরাপদ স্থান নেই। আর এই সমস্যা আরো বেশি জটিল হতে পরে তাঁদের জন্য যারা আর্থিক ও সামাজিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের থেকে আসেন।
তিনি সরাসরি প্রশ্ন করে বলেন , "আমরা কখনও এদিকে নজর দেইনি যে কনস্ট্রাকশন সাইট, কারখানা, চাষের এলাকা, রাস্তার ধারে ছোট স্টলে একজন মায়ের সন্তানকে স্তন্যপান করাতে কতটা অসুবিধা হয়?"
দিয়া বেলজিয়ামে জনসমক্ষে স্তন্যপান করানোর আইনের কোথাও উল্লেখ করেন। সমালোচনা করেন কেন ভারতে সেই সুবিধা পাওয়া যাবে না। তিনি আরও জানান, শিশুকে স্তন্যপান করানো প্রাকৃতিক একটি বিষয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ৬ মাস পর্যন্ত শিশুদের স্তন্য দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। সব শেষে তিনি জানান, এই বিষয়ে সকলেরই সচেতন হওয়া দরকার, কারণ ভারতে শিশু মৃত্যুর অন্যতম কারণ অপুষ্টি।