কিশোর কুশারের জীবনে যতটা ওঠা পড়ার গল্প রয়েছে, ঠিক ততটাই বর্ণময় তাঁর মজার মজার কাহিনি। কখনও বাড়ির সামনে লিখে রাখতেন কিশোর হইতে সাবধান, কখনও আবার চুল কেটে হাজির হতে শ্যুটে, তবে খাওয়ার বিষয় তাঁর মন ছিল বরাবরই দুর্বল।
Jayita Chandra | Published : May 6, 2020 12:49 PM / Updated: May 06 2020, 12:51 PM IST
কিশোর কুমার খেতে ও খাওয়াতে ভিষণ পছন্দ করতেন। পাত পেড়ে খাওয়াটা যেমন ছিল পছন্দের তেমনি মাঝে মধ্যেই সকলকে নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতেন তিনি।
তবে খাবারের নিমন্ত্রণে থাকত কেবল খাবরই। মদ্যপানের কোনও ব্যবস্থাই করতেন না তিনি। কিশোর কুমার মদ্যপান পছন্দ করতেন না তিনি।
বাড়িতে আয়োজন করতেন বাঙালি খাবার। লুচি মাংস, আলুরদম, বেগুন ভাজা, মেনু ভরে কেবল থাকত সুস্বাদু বাঙালি পদ।
বহু গায়ক, প্রযোজক, সুরকার তাঁর বাড়িতে যাতায়াত করতেন। সকলেই ভক্ত ছিলেন কিশোর কুমারের বাড়ির খাবারের।
তবে কিশোর কুমার যে মাছের প্রতি দুর্বল ছিলেন তা সকলেরই ছিল জানা। কেউ যদি কলকাতায় আসতেন, তবে ফেরার পথে কিশোর কুমারের জন্য নিয়ে যেতেন মাছ।
ইলিশ মাছ ছিল কিশোর কুমারের খুব পছন্দের। তাই মাঝে মধ্যেই শচীনদেব বর্মন, শক্তি সামন্তরা ইলিশ নিয়ে যেতেন তাঁর জন্য।
ধূমপান ও মদ্যপান নিয়ে ভক্তদের শতর্ক করতেন তিনি। নিজেও খাওয়া পছন্দ করতেন না। তবে ভোজন রসিক কিশোর কুমার দুটি খাবরকে বেশ ভয়ে পেতেন।
বিরিয়ানি ও সিঙ্গারা। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিশোর কুমার, তারপর থেকেই ছেড়েদেন সিঙ্গারা। আর বিরিয়ানির সঙ্গে সম্পর্ক সুরের।
রেকর্ডিং-এর কয়েকদিন আগে আর বিরিয়ানি খেতেন না কিশোর কুমার, তিনি মনে করতেন বিরিয়ানি খেলেই গলা থেকে বেড়বে না সুর।
কিশোর কুমারকে সকলেই ভিষণ পছন্দ করতেন, শ্রদ্ধার পাশাপাশি ভয় পেতেন অনেকে। তাই রেকর্ডিং-এর জন্য তাঁকে রাজি করাতে রীতিমত দিতেন ঘুষ।
তবে কিশোর কুমারের কাছে একটাই ঘুষ কাজ করত, তা হল মাছ। কেউ যদি তাঁর কাছে ভেট হিসেবে মাছ পাঠাতেন তাহলেই মুহূর্তে রাজি হয়ে যেতেন কিশোরকুমার।