পুজোর মুখে দুর্যোগের ঘটঘটা। রাতভর একটানা তুমুল বৃষ্টি, সঙ্গে ঘনঘন বজ্রপাত। জলে তলায় চলে গিয়েছে শহরের একাধিক এলাকা। আশ্রয় হারিয়েছেন বহু মানুষ। বন্যা পরিস্থিতি দুর্গাপুরে।
আসানসোলের খনি এলাকা থেকে দূরত্ব খুব বেশি নয়। পশ্চিম বর্ধমান জেলার জমজমাট শহর দুর্গাপুর। কল-কারখানার আধিক্যের কারণে এই শহর শিল্পনগরী নামেও পরিচিত। কেউ কেউ আবার ইস্পাতনগরী।
দুর্গাপুর শহরের নিকাশি এমনিতে যথেষ্ট উন্নত। বর্ষার সময়ে শহরের সমস্ত জল গিয়ে পড়ে তমলা নালায়। তারপর সেখানে সোজা দামোদর নদে।
কিন্তু ইদানিং নিকাশি নালা ও লাগোয়া জমিতে বেআইনি নির্মাণ গড়ে উঠেছে। রীতিমতো ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করতে শুরু করেছেন অনেকেই। অন্তত তেমনই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাতেই কি ঘটল বিপত্তি?
ভোররাতে রেডিও-তে মহালয়া চণ্ডীপাঠ বনে এনেছিল উৎসবের আমেজ। আর রাতে নামতে শুরু মুষলধারায় বৃ্ষ্টি। ঘনঘন বজ্রপাতে বিপদ হতে পারত যেকোনও সময়ে।
সকালে যখন বৃষ্টি থামল, ততক্ষণে কার্যত জলের তলায় চলে গিয়েছে গোটা শহরটাই। জল জমেছে বেনাচিতি, শ্রীনগরপল্লী-সহ দুর্গাপুরের একাধিক এলাকায়। বৃষ্টির জল ঢুকেছে দুশোটিরও বেশি বাড়িতে। যুদ্ধকালীন তৎরপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ।
শহরের মেনগেন এলাকায় প্রকৃতির রুদ্ররূপ দেখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক প্রৌঢ়া। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে প্রশাসন।