১৪ এপ্রিলের পর কি বাড়ছে লকডাউনের মেয়াদ, জেনে নিন সমীক্ষায় কত শতাংশ মানুষ রায় দিলেন পক্ষে
বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লক্ষ ছাড়িয়েছে ইতিমধ্যে। মৃতের সংখ্যা এক লক্ষ ছুঁতে চলেছে। পৃথিবীর ২০০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে সংক্রমণ। পশ্চিমি বিশ্বের আধুনিক দেশগুলি করোনার সংক্রমণে দিশেহারা। এই অবস্থায় ভারতে সংক্রমণ আটকাতে চলছে ২১ দিনের লকডাউন। যার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে আগামী ১৪ এপ্রিল মধ্যরাতে। তারপর লকডাউন বাড়বে কিনা তা নিয়ে এখন জোর আলোচনা চলছে ভারতজুড়ে। বিশেষজ্ঞরাও লকডাউন বাড়ানোর পথে মত দিচ্ছেন। ভারত সরকারও সেই দিকেই ইজ্ঞিত দিচ্ছে। এই অবস্থায় দেশের আমজনতা কী চাইছেন, তা নিয়ে করা হয়েছিল একটি সমীক্ষা। ফলাফল কিন্তু বলছে গোটা দেশ করোনার বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করতে লকডাউনের পথেই হাটতে চাইছে
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ২৪ মার্চ জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেদিন রাত ১২টা থেকেই দেশজুড়ে ২১ দিনের জন্য জারি করা হয় লকডাউন।
অত্যাবশ্যক পরিষেবা ছাড়া বর্তমানে দেশে বন্ধ রয়েছে অন্যান্য সমস্ত পরিষেবা। স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অফিস, কাছারি, কল, কারখানা সব খানেই ঝুলছে তালা। বন্ধ রয়েছে সিনেমাহাল, বিউটি পার্লার, স্পা, সুইমিংপুল, জিম, মল।
২১ দিনের লকডাউনে বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে দেশের আর্থিক ব্যবস্থা। কাজ হারিয়েছেন অস্থায়ী শ্রমিকরা। রুজি রুটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে দেশের কোটি কোটি মানুষের।
এই পরিস্থিতিতে লকডাউন বাড়ানো হবে কিনা তা নিয়ে জোড় আলোচনা চলছে নানা মহলে। বিষয়টি নিয়ে সকলের পরামর্শ নিচ্ছে ভারত সরকার। তবে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির দিকেই ইজ্ঞিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আগামী ১৪ এপ্রিল মধ্যরাতে শেষ হতে চলেছে ২১ দিনের লকডাউন। তার আগেই ১১ তারিখ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই এই বিষয়ে নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে পারে ভারত সরকার।
ইতিমধ্যে একাধিক রাজ্য সরকারও কেন্দ্রকে লকডাউন পিরিয়ড বাড়ানোর ব্যাপারে অনুরোধ করেছে। ওড়িশা সরকার নিজের রাজ্যে লকডাউনের সময় বাড়িয়ে ৩০ এপ্রিল করে দিয়েছে।
সমীক্ষা বলছে এদেশের আম জনতাও লকডাউনের পক্ষে সায় দিয়েছে। ৮৮ শতাংশ মানুষই লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির পক্ষে রায় দিয়েছেন।
একটি অ্যাপের সাহায্যে দেশবাসীর সামনে রাখা হয়েছিল প্রশ্ন। ১ লক্ষ ১০ হাজার মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছিল এই সমীক্ষায়।
লকডাউনে মানুষকে গৃহবন্দি থাকতে বলা হচ্ছে। কিন্তু খাবার ও অন্যান্য অত্যাবশ্যক পণ্য জোগাড় করতে বাইরে বের হতে হচ্ছে মানুষকে। সেজন্য অনলাইনে যাতে এবার খাদ্যসামগ্রী অর্ডার করার বিষয়টিতে সরকার জোড় দেয় সেই নিয়ে অনুরোধ করেছেন ৮৮ শতাংশ মানুষ।
সরকারি ক্ষেত্রের পাশে বেসরকারি ক্ষেত্রও যাতে কোভিড ৯২ পরীক্ষা করতে পারে তার অনুমতি দেওয়া হোক। সমীক্ষায় দাবি তুলেছে ৯২ শতাংশ মানুষ।