করোনা নিয়ে কেমন কাজ করছে বিজেপি, ৫ পয়েন্টের মার্কশিট তৈরি করে দিলেন মোদী
সোমবার বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস। কিন্তু, এই সময়ের অন্যান্য সব কর্মসূচির মতোই বিজেপির ৪০তম প্রতিষ্ঠা দিবস-ও ঢাকল করোনার ছায়ায়। বড় কোনও অনুষ্ঠান করা হল না। তবে এক ভিডিও বার্তায়, করোনাভাইরাস-এর এই প্রাদুর্ভাবের মধ্যে কীভাবে মানুষের পাশে থেকে দলের ভিত্তি মজবুত করা যায়, তার পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপির কার্যকর্তা ও কর্মীদের উদ্দেশে পাঁচ দফা আবেদন জানিয়েছেন তিনি। বিজেপির পক্ষ থেকে একে আবেদন বলা হলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা আখেরে বিজেপির কার্যকর্তাদের জন্য় ৫ পয়েন্টের মার্কশিট। দলের নেতৃত্বের দৌড়ে কে এগিয়ে যাবেন, কে পিছিয়ে যাবেন, করোনা মোকাবিলায় কে কতটা কাজ করছেন, সব যাচাই হবে এই পাঁচ পয়েন্টের নিক্তি-তে। দেখে নেওয়া যাক কী সেই পাঁচ পয়েন্ট -
গরিবদের জন্য সেবা অভিযান - প্রধানমন্ত্রী এদিন এই কর্মসূচির উপরই কার্যকর্তাদের সবচেয়ে বেশি জোর দিতে বলেছেন। তিনি বলেন, দরিদ্রদের জন্য রেশন নিশ্চিত করতে হবে। কোনও অভাবী যেন বঞ্চিত না হয়, সেটা দেখতে হবে। কোনও সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিকে ক্ষুধার্ত থাকতে দেওয়া যাবে না।
ঘরোয়া মুখোশ - চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের যেমন সুরক্ষার বর্ম প্রয়োজন, সাধারণ মানুষেরও তা দরকার। এমনকি ঘরে তৈরি প্রতিকারও কাজে লাগতে পারে। তাই বিজেপি কর্মীদের প্রত্যেককে অন্তত ৫টি করে ঘরোয়া ফেস মাস্ক তৈরি করতে হবে।
ধন্যবাদ অভিযান - নিজ নিজ ভোটকেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত এলাকার স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সাফাই কর্মী, পোস্ট-অফিসের কর্মী, সরকারি কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে, বিজেপি কর্মীদের প্রতিটি পরিবার থেকে অন্তত ৫টি করে চিঠি লিখতে হবে। স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানও করতে হবে।
আরোগ্য সেতু অ্যাপ - মোদী বিজেপি কার্যকর্তাদের বলেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইটা অনেকদিন ধরে লড়তে হবে। এই লড়াইয়ের জন্য মানুষের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছনোটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই, নাগরিকদের অবহিত করতে সরকার আরোগ্য সেতু নামে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছে। প্রত্যেক কার্যকর্তাকে অবশ্যই এই অ্যাপটি অন্তত ৪০ জনের ফোনে ইনস্টল করাতে হবে। আর নিস্চিত করতে হবে যথাযথভাবে তথ্য দেওয়া হচ্ছে কিনা।
পিএম কেয়ার্স-এ আর্থিক সহায়তা - প্রধানমন্ত্রী জানান, সঙ্কটের সময়ে দেখা য়ায়, মা এবং স্ত্রীরা তাদের গহনা এবং সোনা দান করেন। দরিদ্ররাও তাদের টাকার ব্যাগ উজার করে দেয়। যুদ্ধের সময় এটা হতে দেখা গিয়েছে। কোভিড-১৯ সঙ্কটের পরিস্থিতি কোনও যুদ্ধের চেয়ে কম নয়। ইতিমধ্যেই অনেকেই পিএম-কেয়ার্স তহবিলে অনুদান দিয়েছেন। বিজেপি ক্যাডারদেরও প্রধানমন্ত্রী ওই তহবিলে অবদান রাখার জন্য এবং আরও অন্তত ৪০ জনকে দিয়ে এই কাজ করাতে আবেদন করেছেন।