আজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের ড্রাই রান শুরু বাংলা জুড়ে, দেখুন ছবি
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের ড্রাই রান শুরু হল উত্তর দিনাজপুর জেলায়৷ শুক্রবার থেকে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ও ইসলামপুর মহকুমায় প্রথম পর্যায়ে ১৫ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা টীকাকরনের ড্রাই রান শুরু করল উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। অপরদিকে, সারা রাজ্যের পাশাপাশি শুক্রবার সকাল থেকে কোভিড নাইনটিন টিকাকরণের প্রস্তুতি শুরু হল নদীয়ার কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালেও।
উত্তর দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কার্তিক চন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ড্রাই রান শুরু করা হল ৷ প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মীদের পরবর্তীতে ধীরে ধীরে জেলার মানুষদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভ্যাকনিশনের ব্যাবস্থা করা হবে। কলকাতা থেকে ভ্যাকসিন আনার জন্য ভ্যাকসিন ভ্যান রেডি করা আছে। আশা, দু-তিনদিনের মধ্যে ভ্যাকসিন এসে যাবে। ড্রাই রান শেষ হওয়ার পর ভ্যাকসিন এসে পৌঁছালে ১৫০৭৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে করোনার টীকা দেওয়া শুরু হবে।
সারা রাজ্যের নিরিখে উত্তর দিনাজপুর জেলায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ও সংক্রমণের হার অনেকটাই কম। জেলায় এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪৮৬ জন, তারমধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৬২৭৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। করোনা আবহে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে গিয়ে বহু স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্তও হয়েছেন।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এবার করোনা নিয়ে মানুষের উৎকন্ঠা দূর হওয়ার সময় এসে গিয়েছে। আজ শুক্রবার থেকে উত্তর দিনাজপুর জেলায় শুরু হয়েছে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ড্রাই রান। রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মহারাজায় রায়গঞ্জ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে এই ড্রাই রান করা হচ্ছে।
উত্তর দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কার্তিক চন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে ১৫ হাজার ৭৫ স্বাস্থ্যকর্মী যেমন ডাক্তার, নার্স, আশাকর্মী সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। ধীরে ধীরে প্রয়োজন ভিত্তিতে ভ্যাকিনেশন চালু করা হবে। খুব শীঘ্রই কলকাতা থেকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন জেলায় চলে আসবে। ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া চালু করার সমস্ত পরিকাঠামো তৈরি রয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলায়।
অপরদিকে, সারা রাজ্যের পাশাপাশি শুক্রবার সকাল থেকে কোভিড নাইনটিন টিকাকরণের প্রস্তুতি শুরু হল নদীয়ার কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে। এইদিন সদর হাসপাতাল ছাড়াও বিষ্ণুপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে মক ড্রিল বা ড্রাইরান চলবে বলে জানালেন নদীয়া জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্পূর্ণভাবে নতুন এই কোভিড-১৯ টিকা সাধারণ মানুষেরশরীরের প্রয়োগ করার আগে বেশ কয়েকটি পদ্ধতির মধ্য দিয়ে টিকাকরণ পর্বটি সম্পন্ন করতে হবে,তারই প্রক্রিয়াকরণ শুরু হল শুক্রবার থেকে বলেও এই দিন জানান মুখ্য জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক। এরপর সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার অভ্যন্তরে প্রতিটি প্রান্তে টিকাকরণের কর্মসূচি চলতে থাকবে বলেও জানান তিনি।