ল্যাম্বারগিনি মানেই গাড়ির কুলে এক অভিজাত সম্প্রদায়, কিন্তু সব ফেলে এখন মাস্ক বানাচ্ছে তারা
বিশ্বজুড়ে গত কয়েকমাসে এক নজিরবিহীন স্বাস্থ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতদিন, বিশ্বের কোনও দেশ বা অঞ্চলে বিপর্যয় নেমে আসলে, বিশ্বের অন্য প্রান্তের দেশ বা রাষ্ট্রগোষ্ঠী তাদের পাশে দাঁড়াতো। কিন্তু এখন এমন এক অবস্থা দাঁড়িয়েছে, যে কোনও দেশই অন্য দেশকে সাহায্য করার অবস্থায় নেই। করোনাভাইরাস-কে রুখতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই এখন লকডাউন জারি করা হয়েছে। গাড়িঘোড়া সব গ্যারেজে ঢুকিয়ে মানুষ ঘরে বসে রয়েছেন। এই অবস্থায় বিখ্যাত গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা লাম্বারগিনি গাড়ি তৈরি বন্ধ রেখে মন দিল অন্য কাজে।
amartya lahiri | Published : Apr 2, 2020 3:30 PM IST / Updated: Apr 02 2020, 11:25 PM IST
লাম্বারগিনি সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী উদ্ভূত এই চিকিত্সা সংকটের মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে ডাক্তাররা এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিনিয়ত যে ঝুঁকি নিচ্ছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়াতেই আপাতত গাড়ি তৈরি বন্ধ রেখে তাঁরা মন দিয়েছেন চিকিৎসাকর্মীদের প্রয়োজন মেটাতে।
গত মাসেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল এশিয়া আর করোনাভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল নয়, সেই জায়গায় উঠে এসেছে ইউরোপ। আর ইউরোপের করোনার হটস্পট ইতালি। এই দেশে ২ এপ্রিল পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ১৩,১৫৫ জন, য়া পৃথিবীর যে কোনও দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন সেই দেশে চিকিত্সা সরঞ্জাম ও চিকিৎসকদের প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জামের ব্যাপক অভাব দেখা দিয়েছে।
তাই বিশ্বখ্যাত ইতালিয়ান গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাটি সেই দেশকে সহায়তার জন্য ইতালির মেডিকেল অ্যান্ড সার্জিকাল সায়েন্সেস বিভাগের তত্ত্বাবধানে বলোগনা-য় তাঁদের অন্যতম বৃহৎ কারখানাটিকে একটি মাস্ক উৎপাদন বিভাগে পরিণত করেছে।
সেন্ট আগাতা বোলোনিজ কারখানায় তারা কাপড়ের তৈরি ফেস মাস্কস এবং পূরো মুখ ঢাকার মতো প্লেসিগ্লাস-এর শিল্ড তৈরি করছে।
গাড়ির ভিতরের সিট থেকে শুরু করে সবকিছু যারা প্রস্তুত করেন, সেই বিভাগের কর্মীদের দিয়ে সেলাই করানো হচ্ছে ফেস মাস্ক। আর থ্রিডি মুদ্রন পদ্ধতিতে অন্যান্য কর্মীরা তৈরি করছেন প্লেক্সিগ্লাস শিল্ড ।