আগামী ৬-১৮ মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ, করোনামহামারি নিয়ে উদ্বেগ সৌম্যা স্বামীনাথনের
ভারতের করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন। তিনি বলেছেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলি যদি বজায় থাকে তাথলে আগামী ৬-১৮ মাস ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আগামী পরিস্থিতি অনেকটাই নির্ভর করছে ভাইরাসটির বিবর্তনের ওপর। ভ্যাকসিনগুলি ক্ষমতা ও সুরক্ষা প্রতিরোধ ক্ষমতাকালীন সময়ের ওপরেও তা নির্ভর করে। এক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন হবে বলেও আশঙ্কা করেছেন তিনি।
সৌম্যা স্বামীনাথন বলেন,পরীক্ষা করে দেখা গেছে মহামারিটি শীর্ষে ওঠার পরেও তার অবসান ঘটে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া গেছে। ২০২১ সালের শেষে দিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে বলেও আশা করেছেন তিনি।
চিকিৎসা নিয়ে সৌম্যা স্বামী নাথন স্পষ্ট করে বলেছেন, মানুষের পক্ষে এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে ভুল সময় ভুল ওষুধ আসলে ভালোর চেয়ে অনেকটাই খারাপ হয়। তিনি আরও বলেন সাধারণত যেসব ওষুধগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি।
ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সৌম্যা স্বামীনাথন বলেন স্বাস্থ্য পরিষেবা খাতে বিনিযোগ করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ মহামারি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য ব্যতীয় আর অন্য কোনও কিছুই গুরুত্বপূর্ণ নয়।
সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চারটি বিষয়ে উদ্বেগ রয়েছে। আর শেষটি হল ১.৬১৭ স্ট্রেইন। যা প্রথমে ভারতে পাওয়া গেছে। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের আরও ৫০টি দেশে এই স্ট্রেইন পাওয়া গেছে।
সংক্রমণ রুখতে সবথেকে জরুরি মাস্ক পরা। ভিড় এড়িয়ে চলা। ঘরে বা অফিসে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করা। নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। করোনাভাইরাসের ১.৬১৭ স্ট্রেইনটি অত্যান্ত সংক্রমক। পুরনো স্ট্রেইনের তুলনায় দেড়থেকে দুগুণ বেশি। বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সংক্রমণ রুখতে সবথেকে জরুরি মাস্ক পরা। ভিড় এড়িয়ে চলা। ঘরে বা অফিসে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করা। নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। করোনাভাইরাসের ১.৬১৭ স্ট্রেইনটি অত্যান্ত সংক্রমক। পুরনো স্ট্রেইনের তুলনায় দেড়থেকে দুগুণ বেশি। বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সৌম্যা স্বামীনাথন বলেছেন, দ্রুততার সঙ্গে টিকা দেয়া হলেই করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। বিশ্বের যে দেশগুলি ৪০-৫০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিয়েছে সেই সব দেশের উল্লেখ্যযোগ্যভাবে মৃত্যুর হার কমে গেছে। হাসপাতালের ওপর চাপও কমে গেছে।