COVID 19-র টার্গেট হবে শিশুরা, করোনাভাইরাস নিয়ে ভবিষ্যৎ বানী বিজ্ঞানীদের

গত দেড় বছরেও বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছে গোটা বিশ্ব। কোভিড ১৯এর জিনের একাধিক পরিবর্তনেরও সাক্ষী থেকে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ। এই অবস্থায় ভাইরাসটি নিয়ে ভবিষ্যৎবানী করলেন একদল বিজ্ঞানী। তাঁদের কথায় আগামী দিনেও বিশ্ব থেকে যাবে করোনার জীবানু। তবে আগামী দিনে করোনার মূল টার্গেট হবে শিশুরা। 

Asianet News Bangla | Published : Aug 12, 2021 10:43 AM IST / Updated: Aug 12 2021, 06:55 PM IST

110
COVID 19-র টার্গেট হবে শিশুরা, করোনাভাইরাস নিয়ে ভবিষ্যৎ বানী বিজ্ঞানীদের

করোনাভাইরাসের নিয়ে ভবিষ্যৎবানী করলেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলেছেন পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যে করোনাভাইরাস আরও পাঁচটা সাধারণ জ্বর সর্দির ভাইরাসের মতই আচরণ করবে। তাতে মূলত সংক্রমিত হবে ছোট ছোট শিশুরা।

210

করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে এখনও পর্যন্ত তেমনভাবে আসেনি শিশুরা। শিশুদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বিরল। এখনও পর্যন্ত শিশুদের করোনার টিকাও দেওয়া হয়নি। 

310

বৃহস্পতিবার পএকটি মডেলিং স্টাডির রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর নরওয়ের বিজ্ঞানীরা বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছিল। তাঁরা বলেছেন এখনও পর্যন্ত শিশুদের মধ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা খুবই সীমিত। তাই রোগটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার পর সাধারণভাবেই রোগটির তীব্রতা অনেকটাই হারিয়ে যাবে। 

410

 নরওয়ের অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন SARS0CoV-2 এই রোগে বর্তমানে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছে প্রাপ্তবয়সীরা। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাও তাদের মধ্যে বেশি। তাতেই বোঝা যাচ্ছে আগামী দিনে সংক্রমণের ঝুঁকি মূলত ছোট বাচ্ছাদের মধ্যেই স্থানান্তরিত হবে। 

510

গবেষকরা জানিয়েছেন, সংক্রমণ রুখতে বর্তামনে প্রাপ্ত বয়েস্কদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। অনেক প্রাপ্ত বয়েস্ক রয়েছেন যাঁরা কোভিড ১৯এর আক্রান্ত হয়েছে। তাই প্রাপ্ত বয়েস্কোদের মধ্যে অনাক্রম্যতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে তেমন কিছু হয়নি। 
 

610

জার্নাল সায়েন্স অ্যাডভান্সেস এর প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা রিপোর্টটি। রিপোর্টে বলা হয়েছে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের স্ঙ্গে করোনাভাইরাসের কিছু মিল রয়েছে। তাই মনে করা হচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতই করোনাভাইরাসও গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার পরে তা স্থায়ী হয়ে যাবে। শ্বাসযন্ত্রের রোগের পূর্ব ইতিহাস রয়েছে, যে এই জাতীয় রোগগুলি মহামারির আকার নেওয়ার পরে শক্তি হারিয়ে ফেলে কিন্তু স্থায়ীভাবে থেকে যায়। 
 

710

উদাহরণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা তুলে ধরেছেন রাশিয়ান ফ্লু বা এশিয়াটিক ফ্লু কথা। ১৮৮৯-১৮৯০ সালে এই রোগ মহামারির আকার নিয়েছিল। সেই সময় প্রায় ১ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। মরামারির সময় মূলত সংক্রমিত হয়েছিল বয়েস্করা। কিন্তু বর্তমানে এই ফ্লুর মূল টার্গেট ৭-১২ মাসের শিশুরা। 

810

বিজ্ঞানীরা একই সঙ্গে বলেছেন যদি সার্স কোভ ২ রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তাহলে নতুন করে বয়েস্করাও সংক্রমিত হতে পারে। পরীক্ষায় প্রমাণ পাওয়া গেছে কোনও ব্যক্তি একবার সংক্রমিত হলে তার মধ্য়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। যা তাকে পরবর্তীকালে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হয়। 

910

গবেষকরা মূলত ১, ১০, ২০ বছর বয়সীদের মধ্যেই সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। চিন, জামান, দক্ষিণ কোরিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি ইতালি, ব্রিটেন সহ ১১টি দেশে  সমীক্ষা করা হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা রাষ্ট্রসংঘের তথ্যও ব্যবহার করেছিল। 

1010

 বিজ্ঞানীরা বলেছেন অনাক্রম্যতা প্রায় ১০ বছর থাকতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও কমবে। তবে সেই সঙ্গে তারা বলেছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি না থাকে তাহলে বয়েস্কোরাও আগামী দিনে এই রোগে সংক্রমিত হতে পারে। 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos