করোনা আতঙ্কের মাঝেই সোয়াইন ফ্লুর হানা ভারতে। উত্তর ভারত জুড়ে ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশের মেরঠে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯ জন। এদের মধ্যে ২০ জন পুলিশকর্মী বলে জানা যাচ্ছে। যোগীরাজ্যে সোয়াইন ফ্লুতে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।
সোয়াইন ফ্লুর থাবা পড়েছে দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্টেও। গত মাসের শেষের দিকে এইচ১এন১ ভাইরাসে আক্রান্ত হন সুপ্রিম কোর্টের ৬ বিচারপতি। যার জন্য বেশ কয়েকটি মামলার শুনানি পিছিয়ে দিতে হয়।
তথ্যপ্রযুক্তি নগরী বেঙ্গালুরুতেও সোয়াইন ফ্লু আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। সম্প্রতি তাদের এক কর্মী এইচ১এন১ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন।
গত মাসে জার্মান তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা স্যাপের দুই ভারতীয় কর্মীর শরীরে মিলেছিল এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। তারপরেই বেঙ্গালুরুর পাশাপাশি তাদের মুম্বই ও গুরগাঁওয়ের অফিস বন্ধ করে দেয়। কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা সোয়াইন ফ্লু শূকরের শনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। ২০০৯ সালে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। ফ্লুতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১,৮২,১৬৬। যার মধ্যে মৃত্যু ঘটে ১৭৯৯।
. ২০০৯ সালের এপ্রিলে উদ্ধব হওয়া ভাইরাসটি মানুষ, শূকর ও পাখির ইনফ্লুয়েঢ্জা ভাইরাসের সিংমিশ্রন। এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস টাইপ এ(এইচ১এন১) হিসাবে পরিচিতি।
সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গসমূহ অন্যান্য ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গের মতই। সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গের মধ্যে জ্বর হওয়া, মাথা ব্যথা, গলা ও শরীর ব্যথা, শ্বাস কষ্ট, ক্ষুদামন্দা ও আলস্যবোধ করা, ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি অন্যতম।
যে সকল মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য সোয়াইন ফ্লু বেশি বিপদজনক। এছাড়া হাঁপানী এবং হৃদরোগ আক্রান্ত মানুষেরও এই ফ্লু সম্পর্কে বিশেষ সাবধান থাকা উচিত।
সোয়াইন ফ্লু থেকে নিজেকে দূরে রাখতে মাস্ক ব্যবহার আবশ্যক। সেই সাথে নিজের ফ্লু হলে তা যেন অন্যকে আক্রান্ত না করে সেই ব্যাপারে সচেতন থাকা আবশ্যক।
সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের উপস্থিতি নির্ণয় করতে আক্রান্ত ব্যক্তির লালা ও নাসিকা রসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।