করোনার মাঝেই বার্ড ফ্লুর হানা, কেরলে মেরে ফেলা হচ্ছে ১২ হাজার মুরগি

একে করোনায় রক্ষে নেই বার্ড ফ্লু দোসর। এখন অনেকটা এমনই অবস্থা ভারতের সবচেয়ে দক্ষিণের রাজ্য কেরলের। দেশে দিনে দিনে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তারমধ্যে শীর্ষে রয়েছে কেরল। বুধবার নতুন করে রাজ্যে ৪ জনের শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে ৩ বছরের এক খুদেও। এরমধ্যেই কেরলে মাথআ চাড়া দিয়েছে বার্ড ফ্লু। ইতিমধ্যে রাজ্যের দুটি পোলট্রিতে বার্ড ফ্লুর সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি সামলাতে মুরগি ও হাঁস কালিংয়ের নির্দেশ জারি করেছে কেরল প্রশাসন। এদিকে মাস খানেক আগে ওড়িশার ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির খামারে থাকা পোলট্রিপ মুরগির নুমনা পরীক্ষায় বার্ড ফ্লু অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল।

Asianet News Bangla | Published : Mar 11, 2020 7:24 AM IST / Updated: Mar 11 2020, 12:56 PM IST

110
করোনার মাঝেই বার্ড ফ্লুর হানা, কেরলে মেরে ফেলা হচ্ছে ১২ হাজার মুরগি
বার্ড ফ্লু সাধারণভাবে ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় একটি রোগ। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা নামক ভাইরাসের সংক্রমনে এই রোগ হয়। বার্ড ফ্লুকে বার্ড ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং এভিয়ান ফ্লু নামেও ডাকা হয়।
210
ভাইরাস বাহিত এই রোগটি পাখিদের মধ্যে সংক্রমিত হয়। পাখিরা দ্রুত একস্থান থেকে অন্য স্থানে চলে যেতে পারে বলে এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
310
প্রকৃতিতে স্বাধীন ভাবে বিচরণ করা পাখিদের থেকে এই রোগ সহজেই গৃহপালিত পাখিদের দেহে সংক্রমিত হয়। গৃহপালিত পাখি থেকে ছড়িয়ে পড়ে মানুষের দেহেও।
410
এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাসের ৪টি সাব টাইপ রয়েছে। তারমধ্যে এইচ১এন১ ভাইরাসটিকেই বার্ড ফ্লুর জন্য দায়ি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
510
সম্প্রতি কেরলের কোঝিকোড পুরসভার অন্তর্গত ২টি এলাকার পোলট্রি ফার্মে বার্ড ফ্লু ছড়িয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংক্রমিত এলাকায় প্রশাসন মুরগি ও হাঁস কালিং শুরু করেছে। বার্ড ফ্লু সংক্রমিত এলাকার ১ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কালিং তলছে।
610
মাস খানেক আগে ওড়িশার ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির খামারে থাকা পোলট্রির মুরগির নুমনা পরীক্ষায় বার্ড ফ্লুর অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। যার জেরে ক্যাম্পাসের ১ থেকে ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে থাকা এলাকাকে সংক্রমণ জোট ঘোষণা করে মুরগি নিধন চলে।
710
সাধারণত সংক্রমণের ১-৩ দিন পর সাধারণ ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই রোগীর শরীরে জ্বর, গা ব্যাথা, গা ম্যাজম্যাজ করা, ঠান্ডা লাগা, হাঁচি, কাশি, মাথাব্যাথা, মাংসপেশি ব্যাথা, বমির মত লক্ষণ প্রকাশ পায়। পরবর্তীতে অবস্থা জটিল হলে অনেক ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের সংক্রমণ বা এনসেফালাইটিস, হৃৎপিণ্ডের সংক্রমণ বা মায়োকার্ডাটাই, মাংসপেশিতে সংক্রমণ বা মায়োসাইটিস ইত্যাদি রোগ হতে পারে।
810
আক্রান্ত পশুপাখির প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে অথবা বর্জ্য থেকে বার্ড ফ্লু হতে পারে। আবার আক্রান্ত ব্যক্তির প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে অন্য ব্যক্তির দেহেও বার্ড ফ্লু ছড়াতে পারে। আক্রান্ত পাখির ডিম বা মাংস সঠিকভাবে সিদ্ধ করে না খেলে বার্ড ফ্লু হতে পারে।
910
বার্ড ফ্লু নির্ণয়ের ক্ষেত্রে, রক্তে এই ভাইরাসের এন্টিবডি পিসিআর পদ্ধতিতে দেখে ভাইরাসটি সনাক্ত করা যায়। সাধারণত নাক ও মুখগহ্বর থেকে লালার নমুনা নিয়ে ভাইরাস কালচার করে এই রোগ নির্ণয় করা হয়ে থাকে।
1010
বার্ড ফ্লু রোগের কোনোও প্রত্যক্ষ চিকিৎসা নেই। সাধারণত নিউরামিনিডেজ প্রতিরোধক, অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ বার্ডফ্লুর ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কার্যকর। তাই বার্ডফ্লু হয়েছে সন্দেহ হলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos