শিল্পপতি রতন টাটা, দেশের অন্যতম এক প্রভবশালী ব্যক্তিত্ব। ইস্পাত কঠিন মুখ ও অনমনীয় চরিত্রের জন্য তিনি পরিচিত। ধন, দৌলত, ঐশ্বর্য থাকা সত্বেও সারাজীবন অবিবাহিত থেকে গিয়েছেন টাটা গ্রুপের এই কর্ণধার। কিন্তু ভ্যালেন্টাইন্স ডের ঠিক আগে নিজের প্রেম, বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং রতন টাটা। জানালেন তাঁর জীবনেও এসেছিল প্রেম।
Sumana Sarkar | Published : Feb 14, 2020 8:22 AM IST / Updated: Feb 14 2020, 02:21 PM IST
কলেজের গণ্ডি পেড়োনোর পর আর পাঁচটা যুবকের মত তিনিও প্রেমে পড়েছিলেন। ৮২ বছর বয়সে নিজেই সেকথা সকলকে জানিয়েছেন রতন টাটা।
বিজনেস টাইকুন রতন টাটার জীবনের নানা অজানা কাহিনী নিয়ে তিনটে খণ্ড প্রকাশ করতে চলেছে ফেসবুকের অন্যতম জনপ্রিয় পেজ ‘হিউম্যানস অফ বম্বে’।
ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে তাঁর প্রথম কিস্তি। আর সেখানেই নিজের ছোটবেলা, কৈশোর এবং যৌবনের নানা গল্প শুনিয়েছেন রতন টাটা।
টাটা জানিয়েছেন, কলেজ শেষের পরেই প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। বিয়েও করতে চেয়েছিলেন প্রেমিকাকে। বিয়ে প্রায় হয়েও যাচ্ছিল। তবে শেষপর্যন্ত ভিলেন হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভারত-চিন যুদ্ধ।
কিশোর বয়সে মার্কিন যুক্তরাষ্টের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচার নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন রতন টাটা। নিউইয়র্ক থেকে আর্কিটেকচার ডিগ্রি পাওয়ার পর লস অ্যাঞ্জেলসে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতে যান তিনি। সেখানেই প্রেমে পড়েছিলেন। বিয়ে প্রায় করেই ফেলেছিলেন। কিন্তু ঠাকুমা অসুস্থ থাকায় দেশে ফিরতে হয় তরন টাটাকে। আশা করেছিলেন প্রেমিকাও তাঁর সঙ্গে ভারতে আসবেন। কিন্তু তখন ভারত-চিন যুদ্ধ থাকায় প্রেমিকার মা-বাবা তাঁকে ভারতে ছাড়তে রাজি হননি। আর অপূর্ণই থেকে যায় শিল্পপতির প্রেমকাহিনী।
ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে রতন টাটার এই পোস্ট। ফেসবুকের ‘হিউম্যানস অফ বম্বে’পেজটিতে প্রেম ছাড়াও নিজের ব্যক্তিগত জীবনের অনেক কথাই শেয়ার কেরেছেন তিনি।
শিল্পপতির কথায় ঠাকুমা নাভাজবাই টাটার কাছেই বেড়ে উঠেছিলেন তিনি ও তাঁর দাদা।
বাব নাভাল টাটা ও মা সুনির বিবাহ বিচ্ছেদের কথাও উল্লেখ করেছেন রতন টাটা। এরপর ফের বিয়ে করেন সুনি। যা নিয়ে ছোটবেলায় স্কুলে বিভিন্ন সময়ে বাঁকা মন্তব্য শুনতে হয়েছিল রতন টাটাকে।
রতন টাটা জানাচ্ছেন সেই সময়ে ঠাকুরমার থেকেই মূল্যবোধ শিখেছিলেন তিনি। যদিও পরবর্তী সময়ে বাবার সঙ্গে দ্বন্দ্ব বেঁধেছিল রতন টাটার।
বাবা চাইতেন ছেলে পিয়ানো শিখুক, আর টাটা নিজে চাইতেন বেহালা বাজাতে। বাবার পছন্দ ছিল লন্ডনে ছেলের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া। আর ছেলের পছন্দ আমেরিকায় আর্কিটেকচার। সেখানও মধ্যস্থতাকারী ছিলেন ঠাকুমা।
শিল্পপতি রতন টাটা, দেশের অন্যতম এক প্রভবশালী ব্যক্তিত্ব। ইস্পাত কঠিন মুখ ও অনমনীয় চরিত্রের জন্য তিনি পরিচিত।
রতন টাটার জীবনের অজানা কথা জানতে এখন বাকি দু’কিস্তির দিকে তাকিয়ে নেটিজেনরা।