Parag Agarwal: টুইটারের নতুন সিইওকে ঘিরে শুরু বিতর্ক, রইল পরাগের জীবনের নানা ছবি

পরাগ আগরওয়াল ও সুন্দর পিচাই দুজনেই আইআইটির ছাত্র। গুগ্‌লের ভারতীয় সিইও সুন্দর পড়াশোনা করেছেন আইআইটি খড়্গপুরে। পরাগ আইআইটি বম্বের ছাত্র। বি টেক করেছেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। তবে সুন্দরের মত জনপ্রিয় নন পরাগ। সেটা কিছুটা তাঁর ব্যক্তিগত জীবনকে রেখেঢেকে থাকার জন্য।

পরাগ আগরওয়ালের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে এখনও সেভাবে কিছুই জানা যায়নি। এমনকী সর্বজ্ঞ গুগলও বিশেষ কিছু বলতে পারেনি। তবে জানা গিয়েছে মুম্বইয়ের অ্যাটমিক এনার্জি সেন্ট্রাল স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। ছাত্র হিসেবে মেধাবী ছিলেন পরাগ। স্কুল শেষ করে আইআইটিতে পড়ার সুযোগ পান তিনি। 

জানা গিয়েছে মুম্বইয়ের খারঘরে জন্ম। সম্ভবত ১৯৮১ সালে। সেই হিসেবে এখন ৪০ বছর বয়স পরাগের। তবে জন্মদিন কবে বলুন তো পরাগের ? নাহ, কেউ জানেন না। 

একটি জনপ্রিয় ইন্টারনেট তথ্যভান্ডারে পরাগের কথা কিছুটা বিস্তারিত ভাবে লেখা হয়েছে তাঁর সিইও হওয়ার ঘণ্টা কয়েক পরে। তবে সেখানে এখনও তাঁর জন্মদিনের তথ্যই নেই।

তবে কাহানি মে টুইস্ট হ্যায়। টুইটারের নতুন সিইও পরাগ আগরওয়ালকে নিয়ে এরই মধ্যে ছড়িয়েছে বিতর্ক। এই বিতর্কের কথা কি শুনেছেন? অবাক হলেও, এমনই ঘটেছে। মজাদার ব্যাপার হল, পরাগের এক পুরোনো টুইট ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অথচ তখনও টুইটার সংস্থায় যোগই দেননি পরাগ। 

কি সেই বিতর্ক? টুইটারের সিইও হওয়ার পর পরাগের একটি পুরনো টুইট ভেসে উঠেছে। তাতে লেখা, ‘ওঁরা যদি মুসলিম এবং উগ্রপন্থীদের মধ্যে ফারাক করতে না পারে, তবে আমিই বা শ্বেতাঙ্গ আর বর্ণবিদ্বেষীদের মধ্যে তফাৎ করব কেন!’

এরপরেই শুরু টানাপোড়েন। টুইটারের প্রসঙ্গ টেনে এনে অনেকেই পরাগের পদত্যাগ দাবি করেছেন। টুইটটি ২০১০ সালে ডিসেম্বর মাসে করা হয়েছিল। এই মনোভাব নিয়ে কীভাবে পরাগ টুইটারের মত গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংস্থার মাথায় বসতে বসতে পারেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। 

টুইটারের দায়িত্ব পাওযার পথ প্রসস্থ হওয়ার পরেই পরাগ আগরওয়াল জানিয়েছেন তিনি সম্মানিত। জ্যাক ডরিসকেও একই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বলেছেন, ডরিসের বন্ধুত্ব তিনি মনে রাখবেন। পরামর্শ দাতা হিসেবেই ডরিসের প্রশংসা করেছেন তিনি।

একই সঙ্গে পরাগ আগরওয়াল জানিয়েছেন এই বিশাল কোম্পানিকে নেতৃত্ব দেওয়া তাঁর কাছে একটি চ্যালেঞ্জ। যেখানে তিনি ডরিসের পরামর্শকেও কাজে লাগাবেন। 

পরাগ আগরওয়াল টুইটারের ব্লুস্কাই প্রচেষ্ঠার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।এর মূল্য লক্ষ্যই ছিল সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য একটি উন্মুক্ত ও বিকেন্দ্রীকৃত মান তৈরি করা। পরাগ আগরওয়াল প্রথম থেকেই ডরসির সমর্থন পেয়েছিলেন। সমস্ত দিক বিবেচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে পরাগকে নিয়োগ করা হয়েছিল।