Winter Problems: জ্বর থেকে শুষ্ক ত্বক, রইল শীতের একাধিক সমস্যা ও তার থেকে মুক্তির উপায়

ফ্লু বা জ্বরের সমস্যায় ভোগেন এই সময় অনেকেই। শীতে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা কমে যায়। তাই এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এই সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খান। আর ঠান্ডা যাতে না লাগে, সেই দিকে খেয়াল রাখুন। 

শীত মানে ত্বকের হাজারও সমস্যা। এই সময় শুষ্ক ত্বক, ত্বক ফাটার মতো সমস্যায় ভোগেন অনেকে। এক্ষেত্রে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিন। ময়েশ্চর যুক্ত সাবান, ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। 

গাঁটের ব্যথা শীতের একটি বড় সমস্যা। সমস্যা থেকে বাঁচতে গরম সেঁক দিতে পারেন। গরম কাপড় পরুন। এছাড়া, আধ কাপ নারকেল তেলে দু চামচ লঙ্কা গুঁড়ো মিশিয়ে ব্যথার জায়গায় মালিশ করুন। ২০ মিনিট মালিশে উপকার পাবেন।  

শীতে অনেকেই হাঁপানির সমস্যায় ভোগেন। আবহাওয়ার তারতম্যের জন্য এই সমস্যা বাড়ে। এলার্জি, ধুমপানের সমস্যা সমস্যা বাড়ে। এই সময় নাক-মুখ ঢেকে বাইরে বের হন। যাদের হাঁপানির সমস্যা আছে তারা ঠান্ডা উপভোগ করার চেষ্টা করবেন না। এতে সমস্যা বাড়বে। 

গলা ব্যথার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন এই মরশুমে। সামান্য ঠান্ডা লাগলে টনসিল ফোলার সমস্যা দেখা যায়। এই সময় কারা খান। লিকার চায়ের সঙ্গ আদা ও তুলসি পাতা দিয়ে শরবত বানান। এটা গলার সমস্যা সমাধান করবে। 

শীতে অনেকেই দাঁত ব্যথার সমস্যায় ভোগেন। ঠান্ডা লেগে দাঁত ব্যথা হয়। তাই ঠান্ডা লাগাবেন না। দাঁতে ব্যথা হলে লাগাতে লবঙ্গ থেঁতো করে লাগান। গরম সেঁক দিন। উপকার পাবেন। 

শীতে খুশকির সমস্যায় ভোগেন অনেকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পাতিলেবুর রস লাগান। পাতিলেবুর রস লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। 

শীতের মরশুমে আরও একটি বড় সমস্যা হল পা ফাটা। ধুলোর জন্য অনেকেরই পা ফাটে। এই সময় নিয়মিত পা পরিষ্কার করুন। পা পরিষ্কার করেই ময়েশ্চরাইজার লাগান। 

শীতে ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় অনেকই ভোগেন। এই সময় জল খাওয়া কম হয়। ফলে, ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়। শীতে পর্যাপ্ত জল খান। না হলে সমস্যা বাড়বে। 

অনেকেই শীতে অধিক চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। শীতে ভালোভাবে চুল পরিষ্কার করা হয় না। এর জন্য চুল পড়ার সমস্যা দেখা যায়। সমস্যা সমাধানে ঘরোয়া প্যাক লাগাতে পারেন।