শীতে ঠান্ডা-কাশি সারাতে মোক্ষম দাওয়াই এই একটি সব্জি, জানুন কেন ব্রকোলিতেই মিলবে ম্যাজিক
শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে ব্রোকলি বেশ জনপ্রিয়। কমবেশি সবাই এই সবজিটি খেতে পছন্দ করেন। রান্না করে খাওয়ার পাশাপাশি ভর্তা হিসেবেও খেতে পারবেন এটি। স্বাদের সঙ্গে গুণেও অতুলনীয় সবজিটি দামে একটু বেশি হলেও পুষ্টিগুণেও ভরপুর।
ব্রোকলিতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় বিভিন্ন রকমের পুষ্টি, আঁশ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, আয়রন ও পটাশিয়াম। অন্যান্য সবজির চেয়ে ব্রোকলিতে প্রোটিনের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি।
গ্যাস্ট্রিক আলসারের পাশাপাশি ঠান্ডা-কাশি থেকে মুক্তি দেয় এই সবজিটি। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ব্রোকলির স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে-
লেবুর দ্বিগুণ ও আলুর সাত গুণ ভিটামিন সি ব্রোকলিতে। বলা হয়, যাদের ভিটামিন সি দরকার, তারা অল্প করে হলেও ব্রোকলি প্রতিদিন খেতে পারেন।
ব্রোকলির বিটা ক্যারোটিন ও সেলিনিয়াম যৌথ ও ভিটামিন সি প্রোস্টেট, কোলন, ফুসফুস, যকৃত, স্তন ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।
সেলিনিয়াম দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে প্রচুর ভিটামিন এ থাকায় ত্বকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে বাধা দেয়। ঠান্ডা-কাশিও ঠেকাতে পারে ব্রোকলি
গ্যাসট্রিক আলসার ও গ্যাসট্রাইটিস প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর ব্রোকলি। বাঁধাকপির চেয়ে এতে অনেক বেশি ভিটামিন ইউ (মেথিওনাইনের উপজাত) থাকে। এতে সালফরাফেন নামের উপাদান থাকে যা গ্যাসট্রিক আলসার ও ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
শরীরে সক্রিয় অক্সিজেন প্রতিরোধ করে ও বিষমুক্ত করে দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে সাহায্য করে ব্রোকলি।
ব্রোকলিতে থাকা ভিটামিন সি ত্বক সুন্দর করে। এছাড়া এতে ডায়াটারি আঁশ থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
ব্রোকলিতে চর্বি ও ক্যালোরি কম কিন্তু আঁশ বেশি। তাই বেশি করে ব্রোকলি খেলে ক্ষতি নেই। বেশি লৌহ থাকায় ডায়েটের সময় ব্রোকলি থেকে ঝিম ধরা ভাব দূর হয়।