অজান্তেই মানসিক অবসাদের শিকার হননি তো, জানান দেবে এই লক্ষণগুলি

Published : Jun 15, 2020, 02:56 PM ISTUpdated : Jun 15, 2020, 03:03 PM IST

শারীরিক রোগ থেকে মানসিক রোগ অনেক বেশি জটিল। আর এই রোগের কাছেই অবলীলায় হার মেনে নিচ্ছেন অনেকেই । একটাই শব্দ মানসিক অবসাদ। এই শব্দটাই তিলে তিলে শেষ করছে একাধিক প্রাণ। কত শক্তিই রয়েছে এই ছোট্ট শব্দটার মধ্যে যে মানুষের প্রাণ নিয়ে নিচ্ছে নিঃশব্দেই। সম্প্রতি তার জলজ্যান্ত উদাহরণ বলি অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। চিকিৎসাও চলছিল। তাও বাঁচাতে পারলেন না নিজেকে। আমাদের আশেপাশে এরকম অসংখ্য মানুষ রয়েছে। যারা নিজেরাও মানসিক অবসাদের শিকার। চিকিৎসা তো দূর কাউন্সেলিং -এর সুযোগটাও যাদের কাছে আসেনা। কীভাবে বুঝবেন?

PREV
111
অজান্তেই মানসিক অবসাদের শিকার হননি তো, জানান দেবে এই লক্ষণগুলি

সুশান্ত সিং রাজপুত। দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। চিকিৎসাও চলছিল। তাও বাঁচাতে পারলেন না নিজেকে।

211

বলি অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু আরও একবার মনে করিয়ে দিল এই কঠিন রোগের কথা। নিজেদের হতাশা, যন্ত্রণার কথা অনেকেই মুখ ফুটে বলতে পারেন না, আবার অনেকেরই মানসিক অবসাদ থাকলেও তা ধরাও পড়ে না।

311


মানসিক রোগ একটি ভয়াবহ জটিল রোগ। বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে আমি, আপনি, যে কেউ এই পরিস্থিস্তির শিকার হতে পারি। কিন্তু এই সমস্যা নিয়ে মুখ বুজে থাকলেই বড় বিপদ।

411


কিন্তু আপনি বা আপনার পরিচিত যে কেই মানসিক অবসাদে ভুগছেন তা বুঝবেন কী করে। এটা একটি বড় বিষয়।

511

চিকিৎসকদের মতে, যারা  মানসিক অবসাদের শিকার তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা লক্ষ করা যায়।  কিন্তু অনেকের মধ্যে আবার এরকম কোন লক্ষণও প্রকাশ পায় না।

611


মনোবিদদের মতে, জীবনে বড় কোনও কিছুর থেকে আঘাত পাওয়া, যেমন ব্যক্তিগত, আর্থিক, বন্ধুবান্ধব, সঙ্গীর সঙ্গে বিচ্ছেদ, ঘনিষ্ঠ মানুষের মৃত্যু থেকে হতাশার  সৃষ্টি হয়। আর সেখান থেকে ধীরে ধীরে মানসিক রোগের শিকার হন।

711


মানসিক অবসাদ থেকে তখন নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা মাথায় ঘুরতে থাকে। সঙ্কট পরিস্থিতিতে সেই সংখ্যাটা যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

811

দিনের পর দিন হতাশা থেকেই নিজেকে হারিয়ে ফেলে মানুষ। বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাই তখন যেন শেষ হতে থাকে। সারাক্ষণ মনের মধ্যে অন্য চিন্তায় বিভোর হয়ে থাকেন এইসব ব্যক্তিত্বরা।

911

বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে তো হবে অবশ্যই কিন্তু মানসিক দূরত্বটা যেন ঠিক থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে  হবে। দূরত্ব মানেই তার থেকে নিজেকে গুটিয়ে ফেলা তা কিন্তু নয়। পাশের মানুষটির মনের হদিশ অবশ্যই রাখতে হবে।

1011

মানসিক অবসাদের জেরে অনেকেরই ঘুম কম হয়। সারাদিন তারা খিটখিটে হয়ে থাকেন। অনেকের আবার খিদে কমে যায়। যার জন্য ওজনও কমতে থাকে। আপনার নিজের মধ্যে বা আশেপাশের মানুষের মধ্যে এমন স্বভাব দেখতে পেলেই আগেই সাবধান হোন।

1111

শরীরের মতোন মনেরও ওষুধের দরকার। নিজের সমস্যা চেপে না রেখে মন খুলে কথা বলুন প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ  নিন। এই ধরনের মানুষকে কখনও একা ছাড়ূবেন না। যার সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে ভাল লাগে তাকে নিজের সবটা খুলে বলুন।

click me!

Recommended Stories