ঘরোয়া উপায় দূর করা সম্ভব পিসিওডি-র সমস্যা, জেনে নিন কী কী করবেন

আধুনিক লাইফস্টাইলে মানিয়ে নিতে গিয়ে নানা রকম রোগে আক্রান্ত হচ্ছি অনেকে। ডায়াবেটিস (Diabetes), কোলেস্টেরল (Cholesterol), হার্টের (Heart) রোগের মতো নানা সমস্যা আজ ঘরে ঘরে। সঙ্গে বাড়ছে মহিলাদের একাধিক রোগ। বর্তমানে প্রতি ১০ জন মহিলার মধ্যে ৪ জন পিসিওডি (PCOD)-তে আক্রান্ত। মূলত ২৫ থেকে ৩৫ বছরের মেয়েদের মধ্যে এই রোগ বেশি মাত্রায় দেখা যাচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, বাড়তি ওজনই পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজের একমাত্র কারণ। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ডাক্তারি পরামর্শের সঙ্গে মেনে চলুন ঘরোয়া টোটকা। জেনে নিন কী করলে উপকার পাবেন। 

Sayanita Chakraborty | / Updated: Mar 21 2022, 07:30 AM IST
110
ঘরোয়া উপায় দূর করা সম্ভব পিসিওডি-র সমস্যা, জেনে নিন কী কী করবেন

খেতে পারেন মেথির জল। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ কমাতে মেথির জল বেশ উপকারী। রোজ রাতে ১ গ্লাস জলে ১ চা চামচ মেথির দানা ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ছেঁকে নিয়ে এই জল পান করুন। এতে উপকার পাবেন। টানা তিন সপ্তাহ এই জল খান। তারপর ১ সপ্তাহ বিরতি দিয়ে ফের তিন সপ্তাহ মেথি জল খান।

 

210

মধু এই রোগ থেকে সহজে মুক্তি দিতে পারে। রোজ সকালে ১ গ্লাস ঈষদুষ্ণ গরম জলে ১ চা চামচ মধু ও ১ চা চামচ লেবুর রস মেশান। খালি পেটে লেবু ও মধুর জল পান। টানা ১ মাস এই জল খান। নিজেই ফারাক বুঝতে পারবেন। পিসিওডি ঠিক হওয়ার সঙ্গে ওজন কমবে।  

310

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ কমাতে ফ্যালক্স সিডড বেশ উপকারী। এতে ওমেগা ৬, ওমেগা ৩ আছে। ১ চা চামচ ফ্যালক্স সিড জলে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই জল ছেঁকে খান। এতে উপকার পাবেন। টানা তিন সপ্তাহ এই জল খান। এতে অল্প দিনের মধ্যেই দূর হবে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজের সমস্যা। 

410

দারুচিনি পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ নির্মূলে বেশ উপকারী। গরম জলে ১ চা চামচ দারুচিনি মিশিয়ে। গরম গরম এই জল পান করুন। রোজ দিনে দু বার পর্যন্ত দারচিনির জল খেতে পারেন। এতে যেমন ওজন কমবে, তেমনই দূর হবে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজের সমস্যা। কদিন এই জল খেলে নিজেই ফারাক বুঝতে পারবেন। 

 

510

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে শরীরচর্চা করা আবশ্যক। রোজ অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন। সারাদিন যতই ব্যস্ত থাকুন, নিজের জন্য সারাদিনে ৩০ মিনিট বরাদ্দ করুন। রোজ ৩০ মিনিট করে হাঁটলে সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। শরীরচর্চাই এই রোগের একমাত্র ওষুধ। সঙ্গে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ কমানোর যোগা করতে পারেন। 

610

স্ট্রেস থেকে বাড়ে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজে সমস্যা। তাই মানসিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখুন। রোজ মেডিটেশন করুন। এতে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকার সঙ্গে শরীর ভালো থাকবে। একদিকে যেমন রোগ মুক্ত থাকবেন, তেমনই কাজে উদ্যোম পাবেন। বর্তমানে স্ট্রেসের জন্য নানা রকম রোগ দেখা দেয়। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে এই টোটকা মেনে চলা আবশ্যক। 

710

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ ঘরা পড়লে সবার আগে পরিবর্তন আনুন খাদ্যতালিকায়। খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন ভাজাভুজি, রেস্তোরাঁর খাবার। ভুলেও খাবেন না প্রসেসড ফুড ও প্যাকেটজাত খাবার। এতে অধিক নুন ও চিনি থাকে। যা এই রোগ বৃদ্ধি করে। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন। 

 

810

রোজ খাদ্যতালিকায় রাখুন ফল, বাদাম, শাকসবজি। এই খাবারগুলো দেহের সকল খাটতি পূরণ করে সুস্থ হতে সাহায্য করে। এর সঙ্গে শরীরে ভিটামিন ডি-এর (Vitamin D) ঘাটতি নিরাময় করুন।  ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খান। রোজ ভোরে আধ ঘন্টা সূর্যের আলোয় হাঁটুন। এটা শরীরের জন্য উপকারী। 

 

910

বর্তমানে, পিসিওডি (PCOD) বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ নিয়ে একাধিক মিথ (Myths) রয়েছে। এর মধ্যে একটি হল, পিসিওডি হলে সন্তান ধারণ করা অসম্ভব। এই কথা মোটেও ঠিক নয়। প্রতিদিন পিসিওডি (PCOD) আক্রান্ত একাধিক মহিলা মা হচ্ছেন। তাই এই রোগ নিয়ে নানা রকম মিথ আছে, তাই না জেনে ভয় পাবেন না।  

1010

পিসিওডি (PCOD) বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ শরীরে বাসা বাঁধলে সবার আগে এর প্রভাব পড়ে পিরিয়ডসে। তাই পিরিয়ডসের দিন অস্বাভাবিক ভাবে পিছিয়ে গেলে কিংবা কোনও রকম সমস্যা দেখলে ডাক্তারি পরামর্শ নিন। শুরুতেই নিয়ম মেনে চললে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তা না হলে, এই রোগ বড় আকার নেওয়ার আগে সতর্ক হন।  

 

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos