শীতকালে প্রায় কম-বেশী সকলেই সর্দি-কাশির সমস্যা ভুগে থাকেন। এদিকে দিনের পর দিন ঠাণ্ডা বাড়ছে। আর যাদের সর্দির ধাঁচ তাদের আবহাওয়া বদলের সময় থেকেই শুরু হয়ে যায় সর্দি-কাশি, বুকে শ্লেষ্মা বা কফ জমার সমস্যা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা এই সমস্যাগুলি সাধারণ সমস্যা ভেবে অগ্রাহ্য করি। তবে এই ধরনের শারীরিক সমস্যায় বাড়তে পারে বিপদ। তাই ক্রমাগত সর্দি-কাশির সমস্যা চলতে থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ সময় মতো এই অসুখের চিকিৎসা না করালে ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রমণ। তাই জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ঘরোয়া টোটকা যা সর্দি-কাশির মত সমস্যা বা বুকে কফ বা শ্লেষ্মা জমার মত সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সর্দি-কাশির সমস্যার কারণে যদি আপনার নাক বন্ধ থাকে সেই ক্ষেত্রে, সামান্য উষ্ণ নুন জল নাকের একপাশ দিয়ে টেনে অন্য পাশ দিয়ে বের করার চেষ্টা করুন। এতে নাকে বা মাথায় জমে থাকা মিউকাস সহজেই বের হয়ে যাবে এবং সর্দি-কাশির সমস্যাও দ্রুত কমে যাবে।
28
গলা খুসখুসে ভাব দূর করতে ২ কাপ জলে আদা কুচি দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে সামান্য মধু মিশিয়ে খেতে হবে। আদা-মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান গলার গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া কমায় এবং ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
38
সর্দি-কাশিতে সম-পরিমাণ লেবুর রস ও মধুর মিশ্রণ গলার ভিতরের সংক্রমণ কমায়। এছাড়া এই সমস্যা থাকলে প্রতিদিন ১ চামচ করে মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন।
48
মধু হচ্ছে উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন একটি ভেষজ তরল। নিয়মিত মধু খাওয়ার অভ্যাস আপনার শ্বাসনালীর নানা সমস্যা দূরে রাখবে এবং সেই সঙ্গে সর্দি-কাশির সমস্যাও কমাবে।
58
সর্দি-কাশির সমস্যা হলে প্রচুর জল পান করুন। জল পানের ফলে শ্লেষ্মা তরল হয়ে আসে। ফলে সেটা ধীরে ধীরে বের হয়ে যায় নিজে থেকেই। তাই সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা দিলেই প্রচুর জল পান করুন।
68
চায়ের পরিবর্তে সর্দি-কাশির প্রকোপ কমাতে উষ্ণ গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন পান করতে পারেন। তাতে উপকৃত হবেন।
78
সর্দি-কাশির সমস্যায় গরম জলের ভাপ অর্থাৎ ভেপার নেওয়া অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি। গরম জলের ভাপ নিলে সহজেই নাক দিয়ে মিউকাস বের হয়ে আসবে। তাই গরম জলেতে নুন মিশিয়ে নিয়ে দিনে দুইবার করে ভাপ নিন।
88
গাজরকে বলা হয় সুপার ফুড। গাজরে থাকা ভিটামিন ও মিনারেলস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ঠান্ডা লাগলে কাঁচা গাজর না খেয়ে সেদ্ধ করে খেলে বেশি কাজ দেয়। এই কারণেই চট করে সর্দি-কাশির মতো রোগগুলো শরীরকে কাবু করতে পারে না।