ফিরে দেখা নোটবন্দি, ডিজিটাল পেমেন্ট থেকে কালো ধন উদ্ধার, কতটা সফল বিমুদ্রাকরণ

২০১৬ সালের ৮ ই নভেম্বর নোটবাতিলের ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন এই সিদ্ধান্তের ফলে বেশ কিছু ইতিবাীচক দিক দেখা যাবে ভারতীয় অর্থনীতিতে। কালো ধন উদ্ধার করা যাবে, বন্ধ হবে জাল নোটের কারবার, বন্ধ হবে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদে তহবিল জোগান, কর ফাঁকি দেওয়া অভ্যাস দূর হবে। একইসঙ্গে ডিজিটাল ইন্ডিয়া হওয়ার দিকে আরও এক কদম এগিয়ে যাবে ভারত। বিমুদ্রাকরণের তিন বছর পরে ফিরে দেখা যাক, কতটা সফল হল মোদী সরকারের নেওয়া এই অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত।

 

amartya lahiri | Published : Nov 8, 2019 7:07 AM IST
15
ফিরে দেখা নোটবন্দি, ডিজিটাল পেমেন্ট থেকে কালো ধন উদ্ধার, কতটা সফল বিমুদ্রাকরণ
কালো টাকা: নরেন্দ্র মোদী সরকারের নোট বাতিলের প্রধান লক্ষ্য ছিল ভারতে কালো টাকার কারবার বন্ধ করে দেওয়া। এই কারণেই পুরোনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে ৫০০ এবং ২০০০ টাকার উচ্চমূল্যের নোট চালু করেছিল। কিন্তু সেই লক্ষ্য প্রায় পুরোপুরিই ব্যর্থ হয়েছে বলা যায়। গত কয়েকমাসে শুল্ক বিভাগের একাধিক অভিযানে বিভিন্ন জায়গা থেকে থরে থরে মজুত বেহিসেবি ২০০০ টাকার নোটের বাণ্ডিল পাওযা গিয়েছে। আরবিআই-এর পক্ষ থেকে ২০০ টাকার নোট ছাপা বন্ধ অবধি করে দেওয়া হয়েছে।
25
ডিজিটাল লেনদেন: কালো টাকা এবং জাল নোট রুখতে সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল নগদের পরিমাণ কমিয়ে ডিজিটাল পেমেন্টে জোর দেওয়া। নোট বাতিলের পরবর্তী সময়ে বাজারে নগদ টাকার যখন অভাব ছিল, ডিজিটাল লেনদেনে জোয়ার এসেছিল। তবে নগদ টাকা বাজারে এসে যাওয়ার পর ফের ডিজিটাল লেলনদেনের পরিমাণ লক্ষ্যনীয়ভাবে কমেছে। এখনও নোটবাতিল পূর্ববর্তী সময়েকর থেকে ডিজিটাল লেনদেনের পরিমাণ দ্বিগুণ হলেও, বাজারে চালু নগদের পরিমাণও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ডিজিটাল পেমেন্টে বেশ কিছু প্রতারণার ঘটনাও ভারতীয়দের ডিজিটাল লেনদেনে ভরসা কমিয়েছে।
35
জাল নোট: জাল নোটের কারবার বন্ধের ক্ষেত্রে বিমুদ্রাকরণের কোনও প্রভাবই প্রায় পড়েনি বলা যায়। আরবিআই-এর ২০০০ টাকার নোট ছাপা বন্ধ করার পিছনে এই জাল নোটের দাপট অন্যতম কারণ। জানা গিয়েছে নোট বাতিলের আগে বাজারে ১৫.৯ কোটি টাকার জাল নোট চালু ছিল বলে সরকার দাবি করেছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে পুলিশ উদ্ধারই করেছিল ২৮.১ কোটি টাকার জাল নোট। যার বেশিরভাগই ২০০০ টাকার। অর্থাৎ ১ বছরে প্রায় দ্বিগুন হয়েছিল জাল নোট। নতুন নোট চালুর সময়ে বলা হয়েছিল এই নোটগুলি জাল করা কঠিন হবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তার উল্টোটাই ঘটেছে।
45
55
কর ফাঁকি দমন: নোট বাতিলকে সাফল্য হিসেবে তুলে ধরে মোদী সরকার দাবি করে গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট (জিডিপি) অনুপাতে কর আদায় বৃদ্ধি ঘটা। এই দাবি আংশিক সত্যি বলা য়ায়। আয়কর রিটার্ন (আইটিআর) জমা দেওয়ার লোকের সংখ্যা অবশ্যই বেড়েছে। তবে কর সংগ্রহের হেরফের ঘটেনি। ট্যাক্স-টু-জিডিপি অনুপাত এখনও উন্নত দেশগুলির প্রায় অর্ধেকে দাঁড়িয়ে আছে।
Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos