Published : Nov 09, 2019, 04:04 PM ISTUpdated : Nov 09, 2019, 04:06 PM IST
অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা হল। রায় গেল রামলালার পক্ষে। ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানান রায়ের বিষয়ে একমত হয়েছেন সাংবিধানিক বেঞ্চের পাঁচ বিচারপতিই। তাঁদের ঐতিহাসিক রায়েই সফল হল ৮০ কোটি হিন্দুর স্বপ্ন। একই সঙ্গে মুসলিম পক্ষকেও মসজিদ তৈরির জন্য় ৫ একর জমি দেওয়া হল। এক নজরে চিনে নেওয়া যাক এই পাঁচ বিচারপতিকে।
ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ - অসমের বাসিন্দা। ২০১৮ সালের অক্টোবরে উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে তিনি শীর্ষ আদালতের প্রধানবিচারপতি হবন। তিনি গুয়াহাটি হাইকোর্ট, পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্ট সহ বেশ কয়েকটি আদালতে কাজ করেছএন। ২০১২ সালের এপ্রিলে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন। জাতীয় নাগরিকপঞ্জি সংক্রান্ত মামলার-সহ বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য মামলার রাীয় দিয়েছেন তিনি। আগামী ১৭ নভেম্বর তিনি অবসর নিচ্ছেন।
25
বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোড়দে - গগৈ-এর অবসরের পর ১৮ নভেম্বর তিনিই ভারতের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হবেন। ২০০০ সালে তিনি বম্বে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হন। এরপর ২০০২ সালে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে নিযুক্ত হন। অবশেষে ২০১৩ সালের এপ্রিলে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন। এবার ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে ১৮ মাস তিনি কাজ করবেন। বিচারপতি বোড়দে-র মতে অযোধ্যার জমি বিতর্ক মামলাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং ভারতের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মামলা।
35
বিচারপতি আবদুল নজির - অশোক ভূষণের মতোই বিচারপতি নজিরও আইনজীবী হিসেবেই কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। ১৯৮৩ সালে সালের ফেব্রুয়ারি থেকে পরের ২০ বছর কেরলে হাইকোর্টে অনুশীলন করেন। ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে কেরল হাইকোর্টেই অতিরিক্ত বিচারক হিসাবে নিযুক্ত হন। ২০০৪ সালে স্থায়ী বিচারক হন। ২০১৭ সালে কেরল হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে উন্নীত হন তিনি। তিন তালাক মামলার রায় দানকারী বেঞ্চের অংশ ছিলেন তিনি।
45
বিচারপতি অশোক ভূষণ - গত সতকের সাতের দশকের শেষদিকে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন বিচারপতি অশোক ভূষণ। প্রথম জীবনে তিনি ইলাহাবাদ হাইকোর্টে আইনজীবী হিসাবে অনুশীলন করতেন। ২০০১ সালের এপ্রিল মাসে তিনি বিচারকের পদে উন্নীত হন। ২০১৪ সালের জুলাইয়ে কেরল হাইকোর্টের প্রথমে বিচারপতি ও পরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হন। সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত হন ২০১৬ সালের ১৩ মে।
55
বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড় - সবচেয়ে বেশিদিন ভারতের প্রধান বিচারপতি ছিলেন ওয়াইভি চন্দ্রচুড়। তাঁরই পুত্র ডিওয়াই চন্দ্রচুড়কে ২০১৬ সালের মে মাসে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। তার আগে বিচারপতি চন্দ্রচুড় বম্বে হাইকোর্ট, ইলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বিচারপতি চন্দ্রচুড় ব্যভিচার আইন এবং গোপনীয়তার অধিকার সম্পর্কিত মামলায় রায় দান করেছেন।