করোনাভাইরাস এবার থাবা বসিয়েছে মাওবাদীদের ডেরায়। একটি সূত্র বলছে রীতিমত আর্থিক সংকটে ভুগছে বস্তারের সুমকার মাওবাদী সংগঠনগুলি। বেশ কয়েকটি নথি হাতে এসেথে নিরাপত্তা বাহিনীর। আর তাতেই স্পষ্ট হচ্ছে আর্থিক অনটনের কারণে ভেঙে পড়েছে খাবার ও রসদ সরবরাহের ব্যবস্থা। সংকট দেখা দিয়েছে ওষুধ পথ্য়েরও। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নতুন মাওবাদীরা ইতিমধ্যে সংগঠন বিমুখ হচ্ছেন। নিয়োগও প্রায় বন্ধের মুখে। অনেকেই সংগঠন ছেড়ে দিচ্ছেন। লকডাউনে যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল তা আনলকেও কাটিয়ে ওঠা যায়নি বলে দাবি করেছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
চলমান মহামারির কারণে এবার রীতিমত সমস্যার মুখোমুখি মাওবাদীরা। আর্থিক অনটন শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সংগঠনের ওপর।
29
বস্তারের সুকমা নিরাপত্তা বাহিনী টহল দিচ্ছিল। সেই সময় মাওবাদীদের একটি ডেরা থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নথি। স্থানীয় গোনডি ভাষায় লেখা সেই নথিতেই উল্লেখ রয়েছে আর্থিক অনটনের কথা।
39
মাওবাদীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে আর্থিক অনটনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের নেটওয়ার্ক। ভেঙে পড়েছে সাপ্লাই চেন।
49
পাশাপাশি চেকপোস্ট স্থাপনের কারণে ব্যাহত হয়েছে মাওবাদীদের অবাধ চলাফেরা। আন্তঃরাজ্য ও আন্তঃজেলা সীমান্ত এলাকায় বাধা পাচ্ছে সংগঠন বিস্তারের কাজ।
59
মাওবাদীদের ডেরা থেকে উদ্ধার হওয়া দলিলে বলা হয়েছে নেটওয়ার্ক ভেঙে যাওয়ার মূল কারণ হল লকডাউনের সময় রসদ আর ওষুধ সরবরাহে বাধা।
69
লকডাউনের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থার কড়াকড়ি ছিল। বেশ কয়েকটি এলাকায় বাড়ানো হয়েছিল টহল। তাই আন্তঃ রাজ্য এমনকি আন্তঃজেলা সীমান্ত এলাকায় তাদের চলাফেরা খুব কঠিন হয়ে পড়েছিল।
79
লকডাউনের সময় যে বাধা তৈরি হয়েছিল তাতে মাওবাদীদের ফান্ড এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যে আনসলেকর সময়েও সেই বাধা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না। পুলিসের একটি সূত্র দাবি করেছে কিছুটা হলে ভেঙে গেছে বস্তারে মাওবাদীদের সংগঠন।
89
গত ৮ সেপ্টেম্বর রায়পুর থেকে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার দূরে সুকমায় মাওবাদী ও নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে লড়াই হয়। কিন্তু বেশক্ষণ নিজেদের ঘাঁটি রক্ষা করতে পারেনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় মাওবাদীরা। তারপরই তাদের ঘাঁটি থেকে উদ্ধার হয় নথি।
99
স্থানীয় এক প্রশাসনিক আধিকারিকের কথায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম দিক থেকেই মাওবাদী দৌরাত্ম্য কিছুটা হলেও কমেছে। পাশাপাশই নিয়োগের ক্ষেত্রেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ।