অমর্ত্য সেন-এর নোবেল জয়ের পর কেটে গিয়েছে দুই দশক। এরপর আবারও একজন বাঙালি অর্থনীতিবিদ হিসেবে জিতে নিলেন নোবেল পুরস্কার। বিশ্ব গরীবি নিয়ে কাজের জন্য অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী এস্থার ডাফলো আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত হলেন নোবেল পুরস্কারে। বাঙালি-সহ গোটা দেশের কাছে এ এক গৌরবময় দিন।
deblina dey | Published : Dec 11, 2019 6:04 AM IST
১৯৬১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মুম্বই-এ জন্মগ্রহণ করেছিলেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার সাউথ পয়েন্ট স্কুলে পড়াশুনা করেন তিনি। ১৯৮১ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হন তিনি। এরপর ১৯৮৩ সালে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন নোবেল জয়ী অভিজিৎ।
বাবা-মা দুজনেই ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের। মা, নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস-এর অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক। আর বাবা দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান। জেএনইউ-এর পড়াশোনা শেষ করে তিনি উচ্চতর শিক্ষার জন্য চলে যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯৮৮ সালে হাবার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
দীর্ঘদিনের গবেষণার সঙ্গী এস্থের ডাফলো-কে বিবাহ করেন অভিজিৎ। ২০০৩ সালে এস্থের ডাফলোর সঙ্গেই যৌথ উদ্যোগে তিনি আব্দুল লতিফ জামিল পভার্টি অ্যাকশন ল্যাব গঠন করেন। একসঙ্গেই স্বামী-স্ত্রী নোবেল পুরস্কার সম্মানিত হন।
বাঙালির ঐতিহ্য বজায় রেখে মঙ্গলবার নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন একেবারে ধূতি ও শাড়ি বাঙালি সাজেই। স্টকহল্মের কনসার্ট হলে মঙ্গলবার ভারতীয় সময় রাত ৯ টায়, সুইডিশ নোবেল কমিটি নোবেল পুরস্কার তুলে দেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ও এস্থার ডাফলোর হাতে।
এদিনের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে স্টকহল্মের কনসার্ট হলে উপস্থিত ছিলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা নির্মলা বন্ধ্যোপাধ্যায় ও ভাই অনিরুদ্ধ। সঙ্গে ছিলেন তাঁদের পাঁচ বছরের দুই সন্তানও। এঁদের সঙ্গে ছিলেন সহযোগী গবেষক মাইকেল ক্রেমারও।
অক্টোবরের প্রথম দিকেই ঘোষণা করা হয়েছিল অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও এস্থার ডাফলো অর্থনীতিতে নোবেল পেতে চলেছেন।