গত ১২ অগাস্ট নয়ডার টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেরশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। নয়ডায় রিয়েল এস্টেট কোম্পানির এমারাল্ড কোর্ট প্রকল্পে ৪০ তলার এই গগনচুম্বী অট্টালিকা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। নয়ডার এই যমজ অট্টালিকা ঘিরে বিতর্ক ছিল প্রথম থেকেই। এটি বেআইনি নির্মাণ বলেও অভিযোগ করা হয়। অবশেষে ২৮ অগাস্ট টুইন টাওয়ার ভাঙার দিন স্থির হয়। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এম আর শাহের দুই বিচারপতির বেঞ্চ উল্লেখ করেছে যে, "বাসস্থানের প্রয়োজনীয়তা যেমন দরকার, তেমনই প্রয়োজন পরিবেশের সুরক্ষা। এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রেখে তবেই কোনও নির্মাণ গড়ে উঠতে পারে। যেখানে এই দুইয়ের ভারসাম্য নেই, সেই নির্মাণ অবৈধ।"
নির্মিত টাওয়ারগুলি ভাঙার জন্য সুপারটেককে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপারটেক এমারাল্ড কোর্ট রেসিডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে দুকোটি টাকা দিতে হবে। টুইন টাওয়ার নির্মাণে ফ্ল্যাট মালিকদেরও সম্মতি নেওয়া হয়নি (উত্তর প্রদেশ অ্যাপার্টমেন্ট অ্যাক্টের অনুযায়ী) বলেই জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। ২০০৯ সালে নয়ডা কর্তৃপক্ষ যে প্রকল্পটির অনুমোদন দুয়েছিল, তা অবৈধ ছিল। কারণ এই প্রজেক্টে দুটি বিল্ডিংয়ের মধ্যে দূরত্ব, অগ্নি নিরাপত্তা বিধি, জাতীয় বিল্ডিং কোড মেনে চলা হয়নি।