ভক্ত ছাড়াই এবার পথে নামলেন জগন্নাথ, রশি টানলেন করোনা নেগেটিভ সেবায়েতরা

অবশেষে একেবারে শেষ মুহুর্তে মিলেছে অনুমতি। তাই সব বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে শেষপর্যন্ত মাসির বাড়ি যাচ্ছেন জগন্নাথ দেব। তবে এবার জনশূন্য গ্র্যান্ড রোড দিয়েই জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরামের রথের চাকা গেল গুন্ডিচা মন্দিরের দিকে। পুরীর রথযাত্রা পৃথিবী বিখ্যাত। প্রতিবছর দেশ বিদেশ থেকে বহু মানুষ আসেন এখানে। তবে এবার করোনা আবহে একেবারে অন্যরকম রথযাত্রা দেখছে শ্রীক্ষেত্র ধাম। যেখানে ভক্তছাড়াই হয়েছে গোটা আয়োজন। তবে দর্শক সমাগমে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, ভিস্যুয়াল মিডিয়া ও টিভি ক্যামেরা অবাধ সম্প্রচার চলছে। তাই ঘরে বসেই এবার চলছে জগন্নাথ দর্শন। 
 

Asianet News Bangla | Published : Jun 23, 2020 6:45 AM IST
111
ভক্ত ছাড়াই এবার পথে নামলেন জগন্নাথ, রশি টানলেন করোনা নেগেটিভ সেবায়েতরা

পুরীতে আজ রথযাত্রা। করোনা আবহে শর্ত সাপেক্ষে রথযাত্রার অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপরই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। সাজানো হয়েছে রথ। সেজে উঠেছে মন্দির। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, কেন্দ্র, রাজ্য, মন্দির কমিটি সমন্বয় রেখে রথযাত্রা পরিচালনা করছে।
 

211

সুপ্রিম ছাড়পত্র মিলতেই জগন্নাথ দেবের পুজো আচারের রীতিনীতি চূড়ান্ত করতে সোমবার দুপুর থেকেই দফায় দফায় বৈঠক করে মন্দির কমিটি। 
 

311

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে পুরো আয়োজন হয়েছে। রথযাত্রার সময়ে পুরীতে কার্ফু জারি রয়েছে। সড়ক, রেল, বিমান চলাতল বন্ধের নির্দেশ  দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুর ২টো পর্যন্ত পুরী শহরে শাটডাউন রাখা হয়েছে। বেরোনো যাবে না বাড়ি, হোটেল থেকে। 

411

সোমবার রাত ৯টা থেকে পুরী সম্পূর্ণ শাটডাউনের আওতায় চলে গিয়েছে। মন্দিরের বাইরে ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে।
 

511

প্রতিবারের মতো এবারও বিশেষ ধরনের কাঠ দিয়ে তৈরি হয়েছে তিনটি রথ-জগন্নাথদেবের নন্দীঘোষ, বলভদ্রের তালধ্বজ এবং সুভদ্রার রথ দর্পদলন৷ 

611

মন্দির থেকে শোভাযাত্রা করে জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রাকে রথে নিয়ে আসাকে স্থানীয় ভাষায় পহন্ডি বলে৷ পহণ্ডির পর তিন বিগ্রহকে  রথে তোলা হয়।

711

করোনার আবহে পুরীতে এবার হাতে গোণা লোকজন অংশ নিতে পেরেছেন রথযাত্রায়৷  সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া প্রত্যেকটি গাইড লাইন মেনেই চলছে পুরীর রথযাত্রা ৷ রয়েছে মাস্ক, রয়েছে সামাজিক দূরত্ব ৷ 
 

811

রথ টানবেন মন্দিরের দেড় হাজার সেবায়েত। সরকারি ভাবে যদিও ১২০০ সেবায়েতের কথাই বলা হচ্ছে। রথের রশি টানার আগে সেবায়েতদের কোভিড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হচ্ছে। রথ টানার সময়ে মুখে মাস্ক বাধ্যতামূলক। স্যানিটাইজার ব্যবহার করার দিকেও রয়েছে কড়া নজরদারি।
 

911

এক একটি রথের রশিতে ৫০০ জনের বেশি টান দিতে পারবেন না। দুটি রথের যাত্রার মধ্যে অন্তত ১ ঘণ্টা বিরতি দিতে হবে। 
 

1011

সকাল রথে ওঠেন মহাপ্রভু। তারপর পুরীর রাজা এসে সোনায় ঝাটায় ঝাড়ু দেন। 

1111

এদিন রথের ওঠার পর মহাপ্রভুর দর্শন করেন শঙ্করাচার্য।  সব রীতি নীতি মিটিয়ে দুপুরে জগন্নাথ দেবের রথ গুন্ডিচায় মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
 

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos