ক্রিসমাসের সময় বলে আমেরিকানদের কাছ থেকে কোনও সহায়তাই মেলেনি। ভারত সরকার আমিরশাহি-কে অনুরোধ করেছিল বিমানটিতে সামরিক অভিযানের জন্য, কিন্তু তারা সেই অনুরোধ ফিরিয়ে দেয়। এরপর ভারতের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। আইসি ৮১৪-কে আফগানিস্তানের কান্দাহার-এ উড়িয়ে নিয়ে আসে জঙ্গিরা। তালিবান সরকার-কে ভারত কোনওদিন স্বীকৃতিই দেয়নি, তাদের সঙ্গেই কূটনৈতিক সমঝোতা করার চ্যলেঞ্জ তৈরি হয়েছিল ভারতের সামনে। এরমধ্যে নয়াদিল্লি জানতে পেরেছিল, পাঁচ ছিনতাইকারী জঙ্গি হরকত-উল-মুজাহিদিন-এর সদস্য। তাদের দাবি ছিল, পাক সন্ত্রাসবাদী মৌলানা মাসুদ আজহার-সহ ভারতীয় কারাগারে বন্দী আরও ৩৫ জঙ্গিদের মুক্তি দিতে হবে। সেইসঙ্গে ২০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ মুক্তিপণ দিতে হবে। প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী সন্ত্রাসের সামনে মাথা নোয়াবেন না বলে বিবৃতি দিলেও, যত দিন যাচ্ছিল ততই চাপ বাড়ছিল সরকারের উপর। এই অবস্থায় জঙ্গিদের সঙ্গে সমঝোতা করা ছাড়া দ্বিতীয় পথ খোলা ছিল না সরকারের কাছে।