সামনে আসছে করোনার চেয়েও বড় বিপদ, সমুদ্র গর্ভে তলিয়ে যেতে বসেছে গোটা পৃথিবী

মহামারি করোনা দাপটে দিশেহারা গোটা বিশ্ব। এর মধ্যেই ঘনিয়ে আসছে আরও বড় বিপদ। এমন আশঙ্কার কথাই শোনাচ্ছে   মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। গ্রিনল্যান্ড ও আন্টার্কটিকার বরফ অত্যন্ত দ্রুত হারে গলছে। তাই আগামীদিনে পৃথিবীর জন্য ভয়ঙ্কর বিপদ আসছে, এমনটাই জানাচ্ছে নাসা। এরকম ভাবে চলতে থাকলে ২১০০ সালের মধ্যেই সমুদ্রের জলস্তর উঠে আসতে পারে ৩৮ সেন্টিমিটার বা ১.২৫ ফুট। এর আগেও ‘ইন্টার-গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ২০১৯’-এর স্পেশ্যাল রিপোর্টেও একই রকম দাবি করা হয়েছিল।
 

Asianet News Bangla | Published : Sep 21, 2020 6:56 AM IST

110
সামনে আসছে করোনার চেয়েও বড় বিপদ, সমুদ্র গর্ভে তলিয়ে যেতে বসেছে  গোটা পৃথিবী

গ্রিনল্যান্ড ও আন্টার্কটিকার বরফ গলে যাচ্ছে অত্যন্ত দ্রুত হারে। এভাবে চলতে থাকলে পৃথিবীর আগামী দিনে অপেক্ষা করে রয়েছে বড় বিপদ। 

210

গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের দৌলতে উষ্ণায়নের জন্য খুব দ্রুত হারে বরফ গলে যাচ্ছে। গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের মাত্রা এমনই থাকলে আর মাত্র ৮০ বছর পর ভয়ঙ্কর অবস্থা হবে সমুদ্রগুলির। 
 

310

২১০০ সালের মধ্যেই সমুদ্রের জলস্তর  উঠে আসতে পারে ৩৮ সেন্টিমিটার বা ১.২৫ ফুটে। এমনই ভয়ের কথা শোনাল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

410

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা চালান হয়েছিল। গবেষকদল জানিয়েছে, এই হারে গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকার বরফ গললে ২১০০ সালে পৃথিবীর সবক’টি সমুদ্রের জলস্তর ১৫ ইঞ্চিরও (৩৮ সেন্টিমিটার) বেশি উঠে আসবে। যা এ পর্যন্ত সব পূর্বাভাসের চেয়েই অনেক বেশি। অনেক বেশি ভয়ঙ্কর।

510

আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘ক্রায়োস্ফিয়ার’-এর বিশেষ ইস্যুতে এই বিপদের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। যা করা হয়েছে নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের নেতৃত্বে ‘আইস শিট মডেল ইন্টার-কমপ্যারিজন প্রজেক্ট (আইএসএমআইপি৬)’-এর তথ্যের ভিত্তিতে।
 

610

ওই গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির মোট হারের এক-তৃতীয়াংশই বরফ গলে যাওয়ার দরুণ। আইপিসিসি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০০-২১০০-র মধ্যে সমুদ্রের জলস্তর ৮ থেকে ২৭ সেন্টিমিটার বাড়বে কেবলমাত্র গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলার জন্য। এছাড়া আন্টার্কটিকার বরফ গলার জন্য জলস্তর বাড়তে পারে ৩ থেকে ২৮ সেন্টিমিটার।

710

গবেষকরা বলছেন,  বাতাসের তাপমাত্রা বাড়ার জন্যই মেরু অঞ্চলের বরফ গলছে। এছাড়া সমুদ্রের তাপমাত্রাও দ্রুত বাড়ছে, ফলে সমুদ্র সংলগ্ন হিমবাহগুলি গলছে।

810

এই কারনগুলি আরও উদ্বেগের সৃষ্টি করছে। আর গ্রিনল্যান্ডের বরফ চাঙরগুলি ভাঙছে বলে উদ্বেগের মাত্রা আরও বাড়ছে। 

910

বাফেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সোফি নোউইকি জানাচ্ছেন, আগামী দিনে সমুদ্রের জলস্তর কতটা বাড়বে তা নির্ভর করছে মেরু অঞ্চলের বরফ কত দ্রুত গলবে তার উপর। তাই ভবিষ্যতের পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ঘনিয়ে আসছে বড় বিপদ।
 

1010

এর আগে ‘ইন্টার-গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) ২০১৯’-এর স্পেশ্যাল রিপোর্টেও  এমনই দাবি করা হয়েছিল।

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos