মুখে মাস্ক পরে উদ্দাম শারীরিক সুখ, কোভিড পর্নের চাহিদা বাড়ছে বিশ্ব জুড়ে
নীল ছবির জগত। সে এক আলাদা দুনিয়া। আলাদা তার ভাষা, আলাদা তার ভঙ্গি। সে দুনিয়াতেও এখন ঝড় তুলছে করোনা মহামারী। এখন বিশ্ব জুড়ে কোভিড পর্নোগ্রাফির বিশেষ চাহিদা বেড়েছে। কী এই কোভিড পর্ন
বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে এখন ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। চিনের বাইরে ইরান, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান সহ বেশ কয়েকটি দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায়, করোনভাইরাস-কে বিষয় করে প্রাপ্তবয়স্ক ভিডিও তৈরি করা শুরু করেছে নীল ছবির নির্মাতারা।
অতিমারির মাঝে এখন মানুষের যৌন চাহিদা ও চিন্তাগুলিও বদলে যাচ্ছে। এখন বিশ্ব জুড়ে কোভিড পর্নোগ্রাফির বিশেষ চাহিদা। বিশ্বে যখন যা কিছু ঘটে তাকেই ধরে পর্ন ফিল্ম বা নীল ছবির জগৎ।
বিশ্বের প্রথম সারির পর্ণ ওয়েবসাইটগুলির সার্চ ইঞ্জিনে এখন করোনা লিখে সার্চ করার ঝোঁক তৈরি হয়েছে। আর সেই প্রবণতাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা বাড়ানোর খেলায় মেতেছে ব্লু ফিল্ম মেকাররা।
মানুষের মধ্যে এই পর্নগ্রাফি দেখার চাহিদা বেড়েছে। যা স্বাভাবিক। তবে এই ঘটনায় এখন গোটা বিশ্বজুড়ে পর্নোগ্রাফি ইন্ডাস্ট্রিতে এই ধরনের পর্ন তৈরির পরিমানও বড়েছে বহুগুণ।
পর্নহাবের এই পরিসংখ্যান বলছে তাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন ১ মিলিয়নবার কোভিড লিখে সার্চ করা হয়েছে। কার্টুন পর্নোগ্রাফি যাঁরা দেখেন তাদের মধ্যেও এই ধরনের পর্ন দেখার চাহিদা বেড়েছে অনেকটাই।
সেই সব প্রাপ্তবয়স্ক ভিডিও ক্লিপের কোনওটির নায়ক একজন পুরুষ স্বাস্থ্যকর্মী। হ্যাজম্যাট পোষাক পরে নির্জন উহান শহরের এক হাসপাতালের এক মহিলা রোগীর দেখভাল করতে করতেই ওই নারী-পুরুষ দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করছেন।
কোনওটির নায়ক আবার একজন পুরুষ ট্রান্সপোর্টেশন সিকিওরিটি এজেন্ট বা টিএসএ এজেন্ট। দেহে কোভিড -১৯ ভাইরাস রয়েছে সন্দেহ করে এক মহিলাকে আটক করছেন তিনি। তারপর চলছে তার দৈহিক পরীক্ষা।
এর অর্থ আবার মনোবিজ্ঞানীরা অন্য বের করেছেন। তাঁরা বলছেন আসলে মানুষ সেটাই নীলছবিতে দেখতে চায় যা তাদের নিজেদের জীবনে ঘটছে। তাই ক্রমশ মানুষের মধ্যে এই বিশেষ ধারার পর্নগ্রাফি দেখার চাহিদা বেড়েছে।
একের পর এক ফিল্মে দেখানো হচ্ছে কোয়ারেন্টাইন অবস্থায় থাকা, করোনা প্রতিরোধে মুখে মাস্ক এবং রোগের বিস্তার রোধে অন্যান্য সুরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহারের দৃশ্য।