বাংলার দুর্গা পুজোকে ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। তারই রেশ ধরে এদিন শীতের শহর পেয়ে গেল অকাল উৎসবের আঁচ। পৌষের ভর দুপুরবেলা শীতের রোগ গায়ে মেখে আশ্বিনের আমেজ পেল শহর। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে শহরে হল এক বর্ণময় শোভাযাত্রা।
বাংলার ক্যালেন্ডারে সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। সম্প্রতী সেই দুর্গা পুজোকেই ইউনেস্কো হেরিটেজ স্বীকৃতি দিয়েছে। এটি শুধু ভারতেরই স্বীকৃতি নয় । এশিয়াতেও এজাতীয় দেশগুলি প্রথম এজাতী স্বীকৃতি। এদিন কলকাতায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয় কলকাতা।
এই উদ্যোগে সামিল হয়েছিল কলাকাত শহরের পুজো উদ্যোক্তারা। এই অনুষ্ঠানে সামিল হয়েছিল দুর্গা পুজোকে যারা ভালোবাসে আর বাঙালির ঐতিহ্য যাদের গর্ব বোধ করে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই প্রচেষ্টা প্রিজমে বাংলার সাংস্কৃতিকে সমৃদ্ধিশালী করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে এই অনবদ্য ভূমিকা নিয়েছে। দুর্গাপুজোর উৎসবে কোনও না কোনও ভাবে যুক্ত থাকে সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ।
এদিনের শোভাযাত্রায় পুজো প্রেমিকরাই মূলত শহরের রাজপথে পা মিলিয়েছিলেন। দু্গা পুজো প্রেমি মানুষরা সকলেই একযোগে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানান। সেইমত তৈরি হয় প্ল্যাকার্ড ফেস্টুন। তবে কলকাতায় এর আগে এজাতীয় এমন কোনও মিছিল হয়নি।
বর্ণাঢ্য এই মিছিলে বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকেও তুলে ধরা হয়। যা বাঙালির আবেগ আর গর্বকে ছুঁয়ে যায়। দুর্গাপুজো হেরিটেট স্বীকৃতির আনন্দ সকলের মধ্যে ভাগ করে নিতেই এই উদ্যোগ।
এই শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন, তপতী গুহা ঠাকুরতা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দেবাশিষ কুমার, মধুছন্দা সেন, দেবদূত ঘোষ ঠাকুর, সনাতন দিন্দা, ভবতোষ সুতার, সুশান্ত পল, সোমেন দত্ত, ধ্রুবজয়তি বসুসহ কলকাতা বিশিষ্ঠ ব্যক্তিরা।
কলকাতার দুর্গাপুজোতে জড়িয়ে রয়েছে একাল আর একালের মিশেল। এই দুর্গাপুজোতে যেমন দেখা যায় সাবেকিয়ানা। তেমনই দেখা যায় আধুনিক থিম। একই সঙ্গে সমাল উজ্জল প্রাচীনকালের বনেদিবাড়ির দুর্গাপুজো।
দুর্গাপুজোর হাত ধরেই বাংলার ঐতিহ্য স্বীকৃতি পেয়েছে আন্তর্জাতিক মঞ্চে। এই স্বীকৃতি নতুন করে বাংলাকে আবারও বিশ্ব মঞ্চে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করল বলেও মনে করছেন শোভাযাত্রায় সামিল হওয়া ব্যক্তিরা।