ভাইরাসকেও হার মানাল উদ্ভট ভাইরাল ঘটনা, বছর শেষে ফিরে দেখুন গুণধরদের কীর্তি
কোভিড বর্ষেও ঘটেছে কিছু উদ্ভট ঘটনা। যা দেখলে বা শুনলে হাসি পাবে এবং মুহূর্তগুলি ফিরে ফিরে আসবে। আপনি বাসে-ট্রেনে যাতায়াতের সময় আচমকায় হেসে উঠতে পারেন। তারপর যেন বেয়াকুপ হবেন না। তাই ছবিগুলি দেখার আগে জোরে জোরে নিশ্বাস নিন। ২০২০ সালে এমন কিছু প্রভাবশালী উদ্ভট ঘটনা ঘটেছে, সত্যিই যা ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের গল্প 'কুম্ভীর-বিভ্রাট'কেও হার মানাবে বোধয়। তবে সেই ঘটনাগুলিতে কিছু বিকৃত আর কিছু বুদ্ধিমত্তার জন্য সেগুলি বিতর্কে শিরোনামে রয়েছে।
Ritam Talukder | Published : Dec 26, 2020 12:04 PM IST / Updated: Dec 26 2020, 06:48 PM IST
হাওয়া খেলে কী মাথা ঘোরে, উত্তর হ্যাঁ হলে যে কেউ ভয়ে পালাবে। ভারতবর্ষের একাধিক রাজ্যের মধ্যে অধিকাংশ রাজ্যই শাক-পাতা খেতে পছন্দ করেন। পুষ্টিটা একটু বেশি পাওয়া যায় কিনা। তাই সেই পুষ্টি নিতে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় যোগী রাজ্য়ের এক পরিবারকে। মেথি পাতা দিয়ে টেস্টি টেস্টি খাবার রান্না করে মনভরে পেট পুরে খান উত্তরপ্রদেশের ওই পরিবার। তারপর আর কিছুই না, চেতনা ফেরে। বিশ্বব্রমহ্মান্ড ঘুরে আসার পর ওই পরিবার হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারে, মেথি নয়-সেগুলি আসলে ছিল গাঁজা পাতা।
উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে রাস্তার ধারে দেখা যায় সাদা কাপড়ে একটি দেহ। ওই দেহটি দেখে, সারা উত্তরপ্রদেশে সোশ্য়ালমিডিয়ায় ছবিটি নিয়ে যখন হইচই পড়ে গিয়েছে, তখনই সাদা চাদর সরিয়ে উঠে বসলেন এক গুণধর ব্যক্তি। আজ্ঞে তিনি হ্যাঁ জীবিত। তিনি ঘুমোচ্ছিলেন। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বেঁচে থাকলে নির্ঘাত হেসে ফেলতেন। কিংবা মনে পড়ে যেতে পারে বদলাপুরের নওয়াজ উদ্দীনের সবজির বস্তায় ঢুকে পড়ার কথা।
'সখী যাতনা কাহারে বলে', সত্যিই এহেন যন্ত্রনাও পেতে হয় বাংলা টিভি সিরিয়ালে, বোধয় ভাবেননি বাথরুমের স্ক্রাবর্স প্রস্তুতকারক সংস্থাও। 'পিকে'-র হাফ প্য়ান্ট পরে সংবাদ পড়া বোম্য়ান ইরানির বুদ্ধিকেও হার মানায়। একটি বাংলা টিভি সিরিয়ালের শুটিং-এ হাসপাতালের কেবিনে এক রোগীর বুকে ইলেকট্রিক ওয়েভ পাঠানো হবে।'বুঝবে না দর্শক', এই ফর্মুলায় ওই সিরিয়ালের প্রোডাকশন সোজা বাথরুমের স্ক্রাবর্স ব্যবহার করলেন। রোগীর বুকে ইলেকট্রিক ওয়েভ পাঠানোর জন্য দুই চিকিৎসক স্ক্রাবর্স ঠেকালেন, রোগী বেশ লাফিয়ে কেঁপে উঠল।
এবারেরটা আরও সেরা। ঘুমে থেকে উঠে দেখেন যদি আপনি আকাশে, নানা অন্যভাবে নেবেন না যেনও, প্যারাগ্লাইডিং করছি বললেই তো হয় তাই না। নিদেন পক্ষে প্লেনে চড়ছি বললেও হয়। তবে যদি এমন হয়, আপনি সকাল হতেই দেখেন আপনি বিছানা শুদ্ধু আকাশে ভাসছেন, কেমন হয়। তেড়ে আসবেন নির্ঘাত। তবে হ্যাঁ এমনই কাণ্ড ঘটিয়েছেন এক পেশাদার প্যারাগ্লাইডার। বিশ্বে যখন করোনাভাইরাস বিস্তার করছে, এই নবাব তখন বিছানা শুদ্ধু আকাশে গিয়ে দাঁত বার করে হাসছে। অবশ্যই সোশ্যালে বহু চর্চিত। শুধু এই যা, বলে দিল-আলাদিনের প্রদীপ না থাকলেও হয় অনেক কিছুই সম্ভব।
'অপারেশন' গল্পটি নির্ঘাত নাড়াচাড়া দেবে অথবা জনি এলএলবি হিন্দি ছবিতে সেই বাচ্চা ডাক্তারের কথা নিশ্চয় মনে পড়বে এবার। খবু বেশি যোগাযোগ আছে তা নয়, কিন্তু হাসতে গিয়ে মনে পড়তেই পারে। সেটা হল তল পেটে তীব্র ব্যাথা নিয়ে এক ব্য়ক্তি এসে ভর্তি হন আসামের এক হাসাপাতালে। এরপর চিকিৎসকরা যান-প্রাণ লাগিয়ে দেন ওই রোগীর সফল অপারেশন করতে। এরপর ওই ব্যক্তির মূত্রথলির কাছ থেকে যা বেরোলো, তাঁতে ঘাবড়েই যান চিকিৎসকেরা। অপারেশন পর বেরিয়ে আসে একটি আস্ত মোবাইল ফোন চার্জিং তার।
এটা অবশ্য এক উলটপূরাণ। জন্মদিনের দিন খ্রীষ্টান মতে ফিউরিনাল। অবশ্যই এমন ঘটনা ঘটলে অবাক তো হতে হয়।
এই ঘটনাটি অবশ্য দুঃখজনক। এই শিশুটির চোখে একটি পোকা আটকে ছিল প্রায় ৯ ঘন্টা ধরে। ততক্ষণে যন্ত্রনায় কুকড়ে গিয়েছিল শিশুটি। পোকাটি বেরোতেই যেনও তাঁর দ্বিতীয় জন্ম হল।
এই ছবিটি আরও একটি উদ্ভট ঘটনার। যেখানে অন্টারিওর একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হারমোনিকায় ডুবতে গিয়ে কেলেঙ্কারি বাধান।
এই উদ্ভট ঘটনা স্পেনের। যেখানে পোষ্যকে নিয়ে রীতি মতো স্পর্শকাতর আইন ব্যবস্থা। আর সেখানেই মাছ ধরতে গিয়ে পড়ল অসুবিধায়।
এ এক ঘোড়ার গল্প। তবে এবার মনে পড়তে পারে সাদা ঘোড়ার কথা। যাই হোক রাস্তায় এই ঘোড়াটিকে দেখে উদ্ধার করা হয় এবং পাঠানো হয় হাসাপাতালে।
মালয়েশিয়ার এক দম্পতি তাদের বিয়ের জন্য অ্যাম্বুলেন্সে উঠে যাওয়ার একটি ভিডিও শেয়ার করােন। তবে পরে আর রক্ষে হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে ব্যপক সমালোচিত হয়েছিল ভিডিও টি।
স্কটল্যান্ডের একটি ফুটবল খেলায়, একটি ক্যামেরা ক্রমাগত রেফারিকে ভূল করে ট্র্যাক করে। সফ্টওয়্যার গ্লাইচের একটি ভিডিও অনলাইনে ব্যাপক প্রচারিত হয়েছিল।