নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বিশেষজ্ঞদের মতে সেপ্টেম্বরের ২০-২৫ তারিখের মধ্য়ে রাজ্য়ে বদলাবে পরিস্থিতি। খুব সম্ভব সেপ্টেম্বরের শেষেই এসে যাবে সেই শুভক্ষণ। যখন করোনা থেকে আর ভয় করবে না রাজ্য়বাসী। নবান্নে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম জেলাকে নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে এই আশা প্রকাশ করেন মুখ্য়মন্ত্রী।
করোনার মাঝেই ছিল আমফান দোসর। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা দেখতে নেমেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। যদিও পরে আমফান ত্রাণ দুর্নীতি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্য় সরকার। বিরোধীরা বলেন, ছবি তুলতে জলে নামলেও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ায়নি মমতার সরকার। উল্টে ত্রাণের টাকা লুঠ করেছে তৃণমূলের নেতারা।
গত মার্চের ২৩ তারিখে বাংলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত ধরা পড়ে। যার পর থেকেই প্রতিদিন বাড়তে থাকে সংখ্য়াটা। পরবর্তীকালে লকডাউনে বন্ধ হয়ে যায় সরকারি কাজকর্ম। যা নিয়ে পাঁচ জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। অবিলম্বে জেলার ফেলে রাখা কাজগুলি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। এ বিষয়ে লকডাউন বা করোনা পরিস্থিতির অজুহাত তিনি শুনবেন না বলে জানিয়েছেন মমতা।
যদিও মমতার এই ভবিষ্যৎবাণীকে কেবলই নির্বাচনী কৌশল বলে দাবি করছেন বিরোধীরা। তাদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগেই জেলায় প্রচারে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করে রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ করোনা আবহে সমাবেশ করলে রাজ্য় সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। তাই প্রথম থেকেই করোনা নিয়ন্ত্রণে এসেছে দেখানো হবে। এরপরই ঢাক ঢোল পিটিয়ে নির্বাচনী প্রচারে নামবেন মুখ্য়মন্ত্রী। প্রশাসনিক বৈঠকের নামে আদতে পার্টির বৈঠক হবে।