ঘুমোতে পছন্দ করেন, বিশ্ব ঘুম দিবসে জেনে নিন এমন কিছু জায়গা যেখানে চোখ বুজে নাকটা ডাকতে পারবেন
আজ ১৩ মার্চ বিশ্ব ঘুম দিবস। পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের সকলের শরীরের জন্য়ই খুব প্রয়োজন। সব মানুষই ঘুমাতে পছন্দ করেন, কিন্তু সেই পর্যাপ্ত ঘুমটা অনেকেরই হয় না। আবার এমনও দেখা যায়, অনেকে পর্যাপ্ত ঘুম দেবার পরও বেশ আয়েশ করেই ঘুমোন। তবে হ্য়াঁ তাদের প্রত্য়েকেরই একটা মানানসই পছন্দের জায়গা আছে। রাতে বিছানা যাবার আগেও সারাদিনের বিভিন্ন সময় পারলে সেই পছন্দের জায়গায় আরাম করে জমিয়ে ঘুম দেন। সেটা কাজের ফাঁকে অফিসে হোক কিংবা পড়তে পড়তে ঘুম, ট্রেনে-বিমানেও বেশ সুন্দর একটা ঘুম দিয়ে দেন। আসলে ঘুমটা যে প্রয়োজনীতার পাশাপাশি তাদের ভীষন প্রিয়। তাই বিশ্ব ঘুম দিবস, সেই আরামদায়ক ঘুমকেই উসকে দিতে থাকল বিছানা ব্য়াতীত সেই সব প্রিয় ঘুমের ঠিকানা।
Ritam Talukder | Published : Mar 13, 2020 9:20 AM IST / Updated: Mar 13 2020, 06:03 PM IST
ঘুমোতে পছন্দ করে না কে, আট থেকে আশি সকলেই। সুযোগ পেলেই সময়ের সঠিক ব্য়বহার সবাই বেশ জানে। আরাম করে ছোট্ট ঘুম দিয়েছে যেমন এই বাচ্চাটি।
ঘুমোতে ঘুমোতে যদি গন্তব্য় পার হয়ে যায়, তখন রাগ ধরে বইকি। তবে যদি খেয়াল আসে ঘুমটা জমিয়ে হয়েছে তাহলে আবার মেজাজ বেশ ফুরেফুরেই থাকে।
ট্রেনে ঘুমোতে অনেকেই পছন্দ করেন। তা সেই যতই রেগে যাক পাশের যাত্রী। সজাগ করে দিলেও যেন বেশ ভালই লাগে ঘুমের দেশে হারাতে, গন্তব্য়ে পৌছানোর আগে।
অনেকসময় অধিক পরিশ্রমেও নিজের অজান্তেই ঘুম আসে। কাজের চাপে অনেকেই কাজ করতে গিয়ে কম্পিউটারের কি-বোর্ডের উপরও চাপ দিয়ে ঘুমোতে দ্বিধা বোধ করেন না।
বই পড়তে গেলে অনেকেরই চোখ ভারী হয়ে যায়। ছোটবেলায় এমন ঘটনা ঘটেনি এমন কেউ বলতে পারবে না। বরং বড় হয়েও সেই তালিকায় আছে বেশ অনেকেই।
অনেক বাচ্চাকেই সহজে ঘুম পাড়ানো যায় না। কিন্তু যেই তাদের সফট টয় হাতে আসে, তাকে নিয়েই স্বপ্নে বিভোর হয়ে ঘুমে দেশে পাড়ি দেয় শিশুরা।
পছন্দের গল্পেপ বই পড়তেও পড়তেও ঘুম আসে। যখন এসে ক্লাইম্য়াক্স ধরা দেয়, তখন বোধয় ঘুমের দেশের গল্পের চরিত্ররা জীবন্ত হয়ে ওঠে।
অনেকেই আবার বিছানার মত আরামদায়ক জায়গা না পেলেও বেশ ছোট্ট করে জমিয়ে ঘুম দিতে পারে। তাতে কিন্তু মোটেই বিমান মিস হয় না।
ক্লাস করতে করতে ঘুমের ঘটনা তো প্রায়শই দেখা যায়। কড়া শিক্ষকের পড়া যদি করে না আসে, তাহলে তো বোধয় আরও বেশি ঘুম পেয়ে যায় ক্লাসরুমে।
যখন একের পর এক ফাইল আসতে থাকে, এদিকে নিজেও যেনও নিজেকে ছুটি দিতে পারে না। তখন নিজের অজান্তে ঘুমই এসে ছুটি দেয় সারাদিনের ক্লান্তিকে।
গাড়ির পিছনের সিটে বসে জানলা দেখতে কখন যে আলগোছে ঘুম আসে, তা বোধয় অনেকেই বুঝতে পারে না। কিন্তু ঘুমোতে বেশ মজাই লাগে।
অনেকসময় বিমান ধরতে যাওয়ার আগে ফাঁকা সিট বেশ ভালই ঘুমতে পছন্দ করেন শহরবাসী। প্রেমিকা না থাকলেও অদ্ভুত ভাবেই কাউকে ছাড়াই ঘুমটা স্বাভাবিকভাবেই ভাঙে।
পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের সকলের শরীরের জন্য়ই খুব প্রয়োজন। সব মানুষই ঘুমাতে পছন্দ করেন, কিন্তু সেই পর্যাপ্ত ঘুমটা অনেকেরই হয় না। আবার এমনও দেখা যায়, অনেকে পর্যাপ্ত ঘুম দেবার পরও বেশ আয়েশ করেই ঘুমোন।
উড়ানে চেপে বেশ ছোট্ট করে জমিয়ে ঘুম দিতে পারলে ভালই লাগে আগামী গন্তব্য়। ঘুমই যাবতীয় চিন্তা দূরে সরিয়ে দেয়।
ভোরের আলো হোক কিংবা গোঁধুলি লগ্ন, যখনই হোক না কেন আই মাস্ক পরে ঘুমানোর অভিজ্ঞতা বেশ আরামদায়ক অনেক শহরবাসীর কাছেই।