পর্দার এই শিক্ষককেরাই অনুপ্রেরণা, রইল টলিউডের এমনই সেরা ছয় ছবি
সত্তরের দশকই হোক, কিংবা সম্প্রতি মুক্তি, শিক্ষক-পড়ুয়া রসায়নেই বাজিমাত। টলিউডে বেশ কিছু ছবি তৈরি হয়েছে েই প্রেক্ষাপটে। যেখানে কখনও স্থান পেয়েছে শিক্ষকদের জীবনের গল্প, কখনও ঠাঁই করে নিয়েছে পড়ুয়া-শিক্ষক সম্পর্ক। এই খাতেই তৈরি ছবি আজ যেন একটু বেশি করেই দেখা যায় টেলিভিশনের পর্দায়। দেখে নেওয়া যাক টলিউডে তৈরি হওয়া এমনই সেরা ছয় ছবি।
হামিঃ হামিঃ ২০১৮ সালে এই ছবি মুক্তি পেয়েছিল। এই ছবির মুলেই ছিল খুদে পড়ুয়াদের নিয়ে স্কুলে নানা সমস্যা। পরিবারের কপালে ভাঁজ পড়ার নানা কারণকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কীভাবে ছোটদের মনকে জয় করতে হয়, তাদের আবেগকে আয়ত্বে আনতে হয়, সেই গল্পই বলা হয়েছে এই ছবিতে। মুখ্য ভুমিকাতে ছিলেন, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অপরাজিতা আঢ্য।
লড়াইঃ ২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। একটি গ্রামে বিপথে যাওয়া কিছু ছেলেদের নিয়ে টিম তৈরির স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁদের কোচ। সেই স্বপ্নই বাস্তবে পরিণত করতে পোহাতে হয়েছিল অনেক ঝড়। মুখ্যভুমিকায় ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
জয়জয়ন্তিঃ ১৯৭১ সালে এই ছবি মুক্তি পেয়েছিল। এই মুলে রয়েছে একজন গৃহশিক্ষকের গল্প। বাড়ির অবাধ্য কিছু শিশুকে কীভাবে ধৈর্য্য, ভালোবাসা দিয়ে ধরে রাখা যায়, সেই গল্পই নজর কেড়েছিল সকলের। ছবির মুখ্যভুমিকায় ছিলেন অপর্না সেন, উত্তম কুমার।
কোনিঃ ১৯৮৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। যার মুলে ছিল এক সাঁতারু ও তাঁর কোচের গল্প। অর্থের অভাবে যে মেয়ে জীবনের পথে রুখে দাঁড়াতে ভয় পায়, তাঁকেই একদিন জয়ের সামনে তুলে ধরার গল্পই কোনি।
রামধনুঃ ২০১৪ সালে এই ছবি মুক্তি পেয়েছিল। এই ছবির মুলে রয়েছে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার ধ্যান-ধারনা। পড়ার থেকেও বহার বেশি, কিন্তু শিক্ষার মানের দিকে নজর দেন কতজন, চোখে আঙুল দিয়ে সেই ছবিই তুলে ধরে রামধনু। মুখ্যভুমিকায় ছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সিস্টারঃ ১৯৭৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। যেখানে এক মিশনের শিক্ষিকার গল্পই ফুঁটে উঠেছিল। ছবির প্রেক্ষাপটে ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে কীভাবে প্রতিবাদের ভাষা তৈরি করতে হয় তারই গল্প। মুখ্যভুমিকায় অভিনয় করেছিলেন সুপ্রিয়া চৌধুরী।