গ্রীষ্ম কিংবা শীত। এই দুই মরসুমেই জমে যায় ট্রেকিং-এর সুখ। কেউ প্রথমবার পরিকল্পনা করে ঘর ছাড়েন, কেউ আবার নেশার টানে পাহাড়ের পথে পা বাড়ান। সান্দাকফু হল তেমনই এক জায়গা, যা মেলে হাতের নাগালে।
Jayita Chandra | Published : Jul 19, 2021 10:58 AM IST / Updated: Jul 19 2021, 05:38 PM IST
সান্দাকফু ট্রেকিং-এর জন্য হাতের নাগালে অনবদ্য জায়গা। এটি পশ্চিমবঙ্গ, নেপাল ও ,সিকিমের সংযোগস্থলে অবস্থিত।
সান্দাকফুতে ট্রেকিং হয়ে থাকে সাধারণত দুটি সময়। গ্রীষ্মে আর শীতে, এই দুই সময় ছাড়া বর্ষায় এই পথে পা না বাড়ানোই ভালো। কারণ বন্ধ রাখা হয় ন্যাশানাল পার্ক।
সান্দাকফু ট্রেকের জন্য শীতের সময় বেছে নেওয়া হয় অক্টেবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস। এরই মাঝে এলে দেখা মেলে বরফের। ঠাণ্ডার প্রকোপ খানিকটা বেশি থাকে।
ট্রেকের রাস্তা- প্রথমে মনিভঞ্জন, সেখান থেকে তুমলিং। তুমলিং থেকে গারিবাস। সেখান থেকে কালিপোখরি এবং শেষে সান্দাকফু।
সান্দাকফু ট্রেকের জন্য প্রথমে যেতে হবে মনিভঞ্জন। সেখান থেকে গাইড বুক করতে হয়। প্রতিদিন হিসেবে গাউড নিয়ে থাকেন ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা।
এখানে ট্রেক করতে গেল মাথায় রাখতে হবে, তুমলিং ও ফালুত-এ হোটেল পাওয়া যাবে না, তাই আগে থেকে বুকিং করে যেতে হবে।
তবে গ্রীষ্মের সময় এই জায়গাতে এলে দেখা মেলে প্রচুর রডডেন্ড্রনের। শীতের ভিউ আবার খানিকটা আলাদা। একই সঙ্গে পৃথিবীর একাধিক সর্বোচ্চ শৃঙ্গ দর্শন।
ডিটি-এ হাট থেকে হোটেল বুক করে যেতে হবে, কলকাতা থেকে বুক করা যায় কিংবা অনলাইলেই করতে হবে। মাথাপিছু খরচ পরে খুবই কম।
ট্রেকিং-এর সময় মাথায় রাখতে হবে ন্যাশানাল পার্কের জন্য অনুমতি নিতে হবে, গাড়ি ক্যামেরার জন্য আলাদা টাকা দিতে হবে।
তবে শীতের সময় বরফের জন্য বেশ কিছু রাস্তা বন্ধ থাকতে পারে, কিংবা খাবারের সমস্যা হতে পারে। তাই সেই বিষয়গুলোকেও মাথায় রাখতে হবে।