উত্তর সিকিমের সর্বাধিক জনপ্রিয় অঞ্চল হল লাচুং। হাতের কাছে বরফ দর্শন মানেই এখন পর্যটকেরা পাড়ি জমাচ্ছেন লাচুং-এ।
এই এলাকাতে পৌঁছতে গেলে প্রথমে শিলিগুড়ি থেকে যেতে হবে গ্যাংটক। সেখানেই এক রাত্রি থেকে পরের দিন সকালে বেড়িয়ে পড়তে হবে লাচুং-এর উদ্দেশ্যে।
যাত্রাপথে পড়ে একাধিক ঝর্ণা। লাচুং যাওয়ার পথ বেশ সুন্দর। এর দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। এই জায়গাতে লেপচা ও ভুটিয়াদের মূলত বাস। এখানে আসার আদর্শ সময় হল মার্চ-এপ্রিয়।
পাহাড়ের কোলে লাচুং একটি ছোট্ট গ্রাম। এরই পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে লাচুং চু নদী। এখানের সব থেকে বেশি আকর্ষণ হল ইয়ামথাম ভ্যালি। এর উচ্চতা হল ১১৮০০ ফিট।
নির্দিষ্ট কয়েকটি হোটেল ছাড়া এখানে থাকার জায়গা নেই। তাই আগে থেকে প্যাকেজ বুকিং করেই আসতে হয় এখানে। লাচুং থেকে ইয়ামথাম-এর দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। মার্চ মাসে এখানে পুরো বরফ ঢেকে থাকে।
শীতের দিনে পাহাড় উপভোগ করার মজাই আলাদা। কোথাও স্তুপাকার বরফ, কোথাও আবার কম টুরিস্টের জেরে নির্ঝুম সকালের আনন্দ। এবার রইল এমনই এক জায়গার খোঁজ। পাহাড় পছন্দ করেন এমন মানুষের অভাব নেই। কিন্তু শীতের দাপট এড়াতে অনেকেই ডিসেম্বর-জানুয়ারি এড়িয়ে চলেন পাহাড়ি অঞ্চল।
কীভাবে যাবেনঃ বিমান পথে বাগডোগরা, কিংবা ট্রেনে করে শিলিগুড়ি। সেখান থেকে গাড়ি পথে এই জায়গায় পৌঁছতে। তবে রাস্তায় পড়ে বেশ কয়েকটি সুন্দর স্পট। যা দেখতে দেখতে পৌঁছে যাওয়া যায়। শেষের চার কিলোমিটার রাস্তা খানিকটা কষ্ট দায়ক হলেও, ওটাই বিশেষত্ব এই এলাকার।
কোথায় থাকবেনঃ এখানে থাকার জন্য কোনও বিলাশবহুল বাংলো কিংবা হোটেল নেই। কাঠের ছোট ছোট হোমস্টে-তেই থাকতে হয়। যার ফলে রাতে ঠাণ্ডা একটু বেশি অনুভুত হয়।